সন্ধ্যা নামতেই বহরমপুরের জেলখানা চত্বর দেখা যায় সারি সারি নানা মুখরোচক খাবারের দোকান। মোমো, বার্গার, চিকেন পকোড়া, চপ, কাটলেট, স্প্রিং রোল, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই থেকে শুরু করে আরও অনেক। কিন্তু এই সব দোকানের থেকে কিছুটা হলেও ভিন্ন অনিতা হালদারের খাবারের স্টল।
আরও পড়ুন : প্রতিকূলতা হার মানে ইচ্ছাশক্তির কাছে, সাঁতারেও সফল বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের দল
advertisement
এই সমস্ত দোকানের ভিড়ে একা লড়াই করে নিজের স্টল চালাচ্ছেন অনিতা। তাঁর দোকানে পাওয়া যায় চিকেন, মাটন, পনিরের আইটেম। সন্ধ্যার টিফিনে অনিতার হাতে তৈরি চপ থাকে প্রায় সকলের হাতে। কিন্তু শুরুতে সবকিছু এতো মসৃণ ছিল না। অনিতার জীবন সংগ্রাম ছিল খুব কঠিন।
আরও পড়ুন : একসঙ্গে ১০০ জনের মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার! এ যেন অন্যরকম মহালয়া
বছর সাতেক আগে সংসার চালানো ও ছোট্ট ছেলেকে মানুষ করার তাগিদে ঠেলা গাড়িতে খাবারের স্টল শুরু করেন স্বামী স্ত্রী দুজনে। সবকিছু ঠিক চললেও দেড় বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর লড়াইটা হয়ে যায় কঠিন। সংসার সামলে, সকাল থেকে বাজার করে দোকানের সব খাবার নিজে হাতে তৈরি করে ছেলেকে মানুষ করার লড়াই করে চলেছেন অনিতা। আর নিজের ব্যবসাকে ভালবেসেই এই কাজে এগিয়ে চলছেন অনিতা।