জানা যায়, শিক্ষিকার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। যে তাঁর বিদ্যুৎ সংক্রান্ত একটি বিল-এর সমস্যা হওয়ায় তার বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। তারপর রাতের বেলায় তার নিজস্ব হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ আসা নম্বরে শিক্ষিকা সকাল বেলায় কল করে।
আরও পড়ুন - Big News: টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে খারাপ খবর, অনুশীলনে চোট রোহিতের
advertisement
তারপর প্রতারক শিক্ষিকাকে তার নিজের মোবাইলে "এনি ডেস্ক " অ্যাপস ডাউনলোড করতে বলে। অ্যাপস ডাউনলোড করার পর শিক্ষিকাকে দশটি টাকা পেমেন্ট করতে বলে। শিক্ষিকা তার মোবাইল থেকে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে দশ টাকা পেমেন্ট করার পরপরই শিক্ষিকার অ্যাকাউন্ট থেকে তিন ধাপে ৯৫,৫১০ টাকা গায়েব হয়ে যায়। যখন দেখেন যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে তারপরে শিক্ষিকা তার ফোনটা ডিসকানেক্ট করে দেয়। ডিসকানেক্ট করার পর অ্যাকাউন্ট থেকে আর কোনরকম ট্রানজেকশন করতে পারিনি।
সোমবার বিকেল বেলায় শিক্ষিকা কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি এসে ফরাক্কা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। প্রতারণা সম্পূর্ণ তথ্য জানান এই বিষয়ে অভিযোগ হওয়ার পর ফরাক্কা থানা নড়েচড়ে বসে। শিক্ষিকা জানান, এই ধরনের প্রতারণা যারা জড়িত তারা যেন সামনে আসে এবং সাধারণ মানুষকে এই প্রতারণা সম্পর্কে যেন সরকারিভাবে সচেতন করা হয়। যেন আর কেউ আর এই প্রতারণা ফাঁদে পা না দেয়। তবে এই ঘটনা সামনে আসতেই আতঙ্কিত সাধারণ বাসিন্দারা । যদিও বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে কোন রকম WhatsApp ম্যাসেজ পাঠিয়ে টাকা চাওয়া হয় না। এটা একটা প্রতারণা বলে জানান বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা।
Kaushik Adhikary