পাখি দেখতে ভালবাসেন? ইচ্ছে করে শীতের সকালে উঠে পাখির ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে? কিন্তু ইট-কাঠ-কংক্রিটের শহরে সে সুযোগ কোথায়। সর্বত্রই ভরাট হচ্ছে জলাশয়, কাটা পড়ছে গাছ, বিপন্ন হচ্ছএ পাখিদের বসতি। সেই বিপন্নতার মধ্যেই শহরের পাখিদের অন্যতম ঠিকানা তৈরী হয়েছে কান্দি নারায়ণধার পার্কের মধ্যে অবস্থিত পাখিরালয়। কংক্রিটের ভিড়ের মাঝে এক টুকরো সবুজে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়।
advertisement
প্রকৃতিপ্রেমীদের এবং পাখি পর্যবেক্ষকদের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এই পাখিরালয়। বেঙ্গালুরু থেকে আনা হয়েছে হলুদ পাখনা বিশিষ্ট কাকাতুয়া। আবার আনা হয়েছে, হলুদ টিয়া পাখি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। আর সেই কাকাতুয়া রোজ পান করে চা। তার সঙ্গে থাকে বিস্কুট৷ আদর করে যার নাম রাখা হয়েছে গুড্ডু।
সবচেয়ে সুন্দর প্রজাতির পাখি দেখেতে আকর্ষনীয়। প্রাণীদের মধ্যে পাখি অন্যতম। আকাশ যেসব প্রাণীর বিচরণ তাদেরই আমরা পাখি হিসেবে চিনি। আবহাওয়া স্থান এবং জলবায়ুর ভেদে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। পাখিদের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কিছু সবচেয়ে সুন্দর প্রজাতির পাখি আবার কিছু পাখি দেখতে তেমন আকর্ষণীয় নয়। কান্দি নারায়ণধার পার্কে অবস্থিত পাখিরালয়ের মধ্যে হলুদ পাখনা বিশিষ্ট কাকাতুয়া কে চা ও বিস্কুট খাওয়ানো হয়ে থাকে। নিজে হাতে খাই বিস্কুট। শুধু তাই নয় অবসরে সময় নিয়ে করে পেন নিয়েও খেলা।
ছোট ছোট বাড়ির খুদেদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছিল কয়েক বছর আগে এই পাখিরালয়। যা ইতি মধ্যেই নজর কেড়েছে সাধারণ মানুষের। দৈনন্দিন বিকালে কান্দি নারায়ণধার পার্কে পর্যটকরা এলেই দেখা মিলবে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির। পাখিরালয় গেলেই মিলবে কিচির মিচির আওয়াজ, এক চিলতে নিরিবিলি সময় কাটাতে পাখিরালয় হয়ে উঠুক সকলের ডেসটিনেশন।
কৌশিক অধিকারী