বহরমপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাগেড়ের ধারে ব্যক্তিগত মালিকাধীন একটি পুকুরের চারপাশে আবর্জনা ফেলে ফেলে ভরাট করা হচ্ছিল। সেই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন বহরমপুরের জনৈক এক পৌর নাগরিক। সেই মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি রায় দেন পুকুর সংস্কার করার জন্য। কিন্তু মালিক সে কথায় কর্ণপাত না করায় ফের তা আদালতের শরণে আনা হয় সমগ্র বিষয়টি।
advertisement
আরও পড়ুন: জল কেড়ে নিল জীবন! টিউবওয়েল নিয়ে মুর্শিদাবাদে যা ঘটল, কখনও কোথাও হয়ত ঘটেনি!
বহরমপুর পৌরসভার ঐ পুকুরের মালিককে বারবার বলার পরেও তিনি পুকুর সংস্কারে উদ্যোগী হননি বলেই অভিযোগ ছিল। শেষে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বহরমপুর পৌরসভা এই পুকুর সংস্কারে এগিয়ে আসে। শুধু তাই নয়, পুকুরটি সংস্কারের পর পুকুরের মালিকানাও পাবে পুরসভা।
আরও পড়ুন: শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে বেনজির বিপদ! ঋণ নিয়ে চাষ করে ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষকরা
আদালতের নির্দেশে সেই পুকুর সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিলেন পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক ও আইনজীবীরা। একইভাবে বহরমপুর পুরসভার মধুপুর এলাকার বাবুলবোনা রোডের একটি পুকুর রাতের অন্ধকারে বুজিয়ে ফেলা হয়। সেই পুকুর ভরাট নিয়েও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। পুকুর মালিককে মাটি তুলে পুকুরকে ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে নতুন করে পুকুর ফিরে আসতেই খুশি প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
কৌশিক অধিকারী