পুজো পরিচালনার জন্য পরবর্তীকালে কর্মকারদের কাছ থেকে জমি হস্তান্তর করে পুজোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন বালুর গ্রামের চৌধুরী পরিবার। মা কালীর পুজোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন অনেকেই ।রাণী ভবানী যাতে পুজো বন্ধ না হয় সেই কারণেই তিনি দেবর্ত সম্পত্তি জমি দান করে যান। যাতে করে পুজো বন্ধ না হয়।
আরও পড়ুন - ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের আগে মাথায় হাত দুই অধিনায়কেরই, ‘বড়’ চিন্তার মেঘ সরছেই না
advertisement
নিয়ম ছিল যারা মা কালীর পুজো করবে তারাই একমাত্র জমির অধিকার লাভ করবে। তার জন্য তারা বিশেষভাবে জমির ফসলের অধিকার পেতেন। কর্মকাররা তিন তরফ ছিল এক একজনের এক বৎসর করে মায়ের পুজো করত। মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ময়ূরাক্ষী নদী, আর সেই ময়ূরাক্ষী নদীতে নৌকা ভাসিয়ে মা কালীর প্রতিমা পাঠিয়ে দেওয়া হত। কয়েক বছর আগে বন্যার কারণে নদীতে বাঁধ দিয়ে ফলে কানা ময়ূরাক্ষী নামে পরিচিত বর্তমানে এই নদী। বর্তমানে নেই রাজমহল ।
আরও পড়ুন - দুঃস্থ মানুষদের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন মা, কালীপুজোর থিমে তিনিই, কে তিনি জানুন...
তবুও গ্রামের মানুষ আজও তার ব্যতিক্রম ঘটায় নি। কর্মকার পরিবার দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে বর্তমানে পুজো পরিচালনা করে শ্রীহট্ট শ্রী দুর্গা সার্বজনীন ক্লাব। কোন বছরই বাদ যায়নি মায়ের পুজো । তারাই ঐতিহাসিক এই পুজো আজও করে আসছে ধুমধামের সঙ্গে ।যদিও আর্থিক সমস্যা থাকলেও রানীর ঐতিহাসিক মা কালী পুজো করে আসছেন তারা।
Kaushik Adhikary