কোভিড অতিমারী পরিস্থিতির পর এ বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছেন মুর্শিদাবাদ জেলাবাসী। বুধবার একদিনে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর পুজো চলছে। দশমী পুজো হবে বৃহস্পতিবার। তবে আগে কলকাতার কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা নিয়ে আসা হলেও বর্তমানে কালের নিয়মে যাতায়াতের অসুবিধার কারণে এখন আর কলকাতা কুমারটুলি প্রতিমা আনা হয় না। বর্তমানে স্থানীয় প্রতিমা শিল্পীদের নিয়ে প্রতিমা তৈরি করা হয়ে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ যুবকের কাছে উদ্ধার পাইপগান, বাড়িতেই মিলল ডিনামাইট, ভয়ঙ্কর অভিযোগ পরিবারের
পাশাপাশি, গ্রামের অন্যান্য জগদ্ধাত্রী পুজো দশমীর দিনে নিরঞ্জন করা হলেও একমাত্র এই পরিবারের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় একাদশীর দিনে নিজস্ব পুকুরে। আগে নিরঞ্জনে আতশবাজী প্রদর্শনী করা হলেও কোভিড মহামারি কারণে দু'বছর বন্ধ ছিল আতশবাজী প্রদর্শনী। তবে এ বছর পুলিশ অনুমতি না পাওয়ার কারণে আতশবাজী প্রদর্শনী করা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি, মা জগদ্ধাত্রীকে ৩০ ভরি সোনার গয়নাতে সজ্জিত করা হয়।
শাস্ত্র জানাচ্ছে, দেবী জগদ্ধাত্রীর রূপ উজ্জ্বল। তাঁর তিনটি চোখ, চারটি হাত। চার হাতে শঙ্খ, ধনুক, তীর এবং চক্র। শঙ্খ শব্দের প্রতীক, শব্দই নাদ, নাদই ব্রহ্ম। দেবী বাক্ রূপেও নিজেকে প্রকাশ করেন। দেবীর হাতের ধনুকটি হল অসীম চৈতন্যশক্তির প্রতীক। সেই চেতনা যখন ক্রিয়াশীল হয় তখন মানুষের লক্ষ্য হয় প্রাপ্তি-- যশ-অর্থ-মোক্ষ! প্রাপ্তির শেষ নেই। সেই প্রাপ্তির দিকে তাকিয়েই থাকে তীর বা বাণ। ধনুকের ছিলাটিও প্রতীকী। এটি জগজ্জননী বেঁধে দেন সাধুজনের অন্তরে।
কৌশিক অধিকারী