মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে জেলার মধ্য দিয়ে যাওয়া জাতীয় ও রাজ্য সড়কগুলি। কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি যে সব গাড়িকেই হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে সমস্ত ট্রেনকে ফগ লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। দুপুর পেরিয়ে বিকেল হয়ে সন্ধে হতে চলল, কিন্তু কুয়াশার ঘনত্ব কমার বদলে আরও বেড়ে চলেছে। ফলে গাড়ি-ঘোড়া ধীর গতিতে চলছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ছেলের বাইকে চেপে ডাক্তারখানায় যাবেন বলে বের হন, শেষপর্যন্ত মর্গে ঠাঁই হল বৃদ্ধ দম্পতির!
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির অল্প উন্নতি হলেও রাত নামলেই চারপাশ আবার কুয়াশা চাদরে ঢেকে যাবে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বারবার প্রচার করছে প্রশাসন। যাননি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ থেকে শুরু করে সিভিক ভলেন্টিয়ার সবাই বারবার গাড়িচালকদের সতর্ক করে দিচ্ছেন। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা একেবারে তলানিতে নেমে গেছে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে। মুর্শিদাবাদের পাশ দিয়ে ভাগীরথী নদী বয়ে যাওয়ায় আরও বেশি কুয়াশা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন নদী তীরবর্তী এলাকায় কুয়াশার প্রাবল্য সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে।
কৌশিক অধিকারী