ভাকুড়ি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সেক্রেটারি বিনয় হালদার জানিয়েছেন, গত দুই দিন ধরে চালতিয়া বিলের ৯০ শতাংশ মাছ মারা গিয়েছে। তিনি বলেন, গত দুই দিন ধরে বৃষ্টির পরেই সোমবার সকাল থেকেই বিপুল পরিমাণ মাছ জলে ভাসতে শুরু করে। স্থানীয় কিছু বাসিন্দারা, রাস্তার চলতি মানুষজন সেই সব মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের মৎস্যজীবীরা জলে নেমে মাছ ধরে নিয়ে আসে, কিন্তু সেই মাছ ও বাজারে বিক্রি হয় না।
advertisement
আরও পড়ুন - রাজ্যে নতুন সাত জেলা! মুর্শিদাবাদকে তিন ভাগে ভাগ! কান্দি, বহরমপুর নতুন জেলা!
এরপর আজ মঙ্গলবার সকালে প্রচুর মাছ জলে ভেসে ওঠে। আমাদের মৎস্যজীবীরা কিছু মাছ ধরলেও, সাধারণ মানুষ তার কয়েক গুণ বেশি মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। মাছ ভেসে যাওয়া বা মরে যাওয়ার কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, বহরমপুর শহরের নোংরা আবর্জনা জল ক্যানেল দিয়ে এই বিলে নামে, এছাড়াও বিলে প্রচুর পরিমাণে পাট ফেলে পাট জাগ দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই বিলের জল নষ্ট হয়ে গিয়েছে তার ফলে এই মাছের মরক দেখা দিয়েছে। শহরের নোংরা জল যাতে বিলে না পড়ে সেই ব্যাপারে বারবার পঞ্চায়েত ও পৌরসভায় জানিও কোন কাজ হয়নি।
আরও পড়ুন - শ্রাবণ মাসের তৃতীয় সোমবার, দুধ, গঙ্গাজল ঢেলে শিবের পুজো ঐতিহ্য প্রাচীন রুদ্রদেব মন্দিরে
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীরা বলেন, সারা বছর আমাদের এই বিলের মাছের ওপর নির্ভর করে চলতে হয়। বিলের মাছ শেষ হয়ে গেলে সারা বছর আমাদের কিভাবে সংসার চলবে? এই নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি। সরকারী ভাবে যদি এই বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেই তাহলে আমাদের একটু সুরাহা হয়। প্রায় ৮০ জন মৎস্যজীবী এই বিলের উপর নির্ভর করে সংসার চালান। হঠাৎই বিলে মাছের মড়ক দেখা দিতেই চিন্তিত মৎস্যজীবীরা। লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির মুখে এখন চালতিয়া বিলের মৎস্যজীবীরা।
কৌশিক অধিকারী