এদিন দিনভর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই কান্দি শহরেরই অবস্থিত লালাবাবুর প্রতিষ্ঠিত অন্যতম কান্দি রাজ পরিবারের রাধাবল্লভ জিউর মন্দিরে এই উৎসবের আয়োজন করা হল। উৎসব কে কেন্দ্র করে বহু দুর দুরান্ত থেকে মানুষ জন আসেন । পাশাপাশি, নগর পরিক্রমা করা হয়। কান্দি অন্নপূর্ণা মাতা পূজা কমিটি ও কান্দি গৌর অনুরাগী ভক্তদের পরিচালনায় এই উৎসবের আয়োজিত হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: রানাঘাট স্টেশনে ঘুরছিলেন মহিলা, ব্যাগের মধ্যে এ কী জিনিস! চক্ষু চড়কগাছ সকলের
আজ থেকে ৫০০ বছর আগের কাহিনি। হুগলি জেলার অন্তর্গত শ্রীকৃষ্ণপুরের জমিদার শ্রীগোবর্ধন মজুমদার। তৎকালীন দিনে যাঁর মাসিক আয় ছিল বিশ লক্ষ স্বর্ণ মুদ্রা। তাঁর একমাত্র পুত্র শ্রীচৈতন্য পার্ষদ রঘুনাথদাস গোস্বামী। কিন্তু আচমকা একদিন ঘটে গেল সেই অনভিপ্রেত ঘটনা। শ্রী নিত্যানন্দ প্রভুর আশীর্বাদ না নিয়ে রঘুনাথ সেদিন শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপাশীষ লাভ করার চেষ্টা করেছিলেন। এ কথা জানা মাত্রই নিত্যানন্দপ্রভুর বিরাগভাজন হন তিনি। তিনি রঘুনাথকে জানিয়ে দেন- তোমাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। প্রস্তুত হও। রঘুনাথ হাসি মুখে নত মস্তকে শাস্তি মাথা পেতে নেন। তখন শ্রী নিত্যানন্দ প্রভু বলেন- ‘রঘুনাথ, তোমাকে শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ-গৌরাঙ্গের ভক্তদের চিঁড়া-দধি ভোজন করাতে হবে। এটাই হল তোমার দন্ড। আনন্দের সঙ্গে রঘুনাথ সেদিন এই দন্ড গ্রহণ করেছিলেন।” সেই থেকে পানিহাটিতে আয়োজন করা হয় দন্ড মহোৎসবের। পানিহাটির পাশাপাশি লালাবাবুর প্রতিষ্ঠিত কান্দি রাধাবল্লভ মন্দিরেও আয়োজন করা হল এই উৎসবের।পাশাপাশি দেওয়া হল ৬৪ মোহান্ত ভোগ।
আরও পড়ুন: সাত বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন কি উঠবে? স্পিকারের সিদ্ধান্তে প্রবল ক্ষোভ
মন্দিরের সেবায়েত জানান, বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসে লালাবাবুর তিরোধান দিবস। তাই কান্দি শহরের মানুষ পঞ্চ তত্ত্ব ৬৪ মোহান্ত ভোগ দেওয়ার আয়োজন করেন। কান্দি বাসী ও কান্দি পৌর এলাকার বাসিন্দারা এগিয়ে এসেছেন। ৬৪ মোহান্ত ভোগ পেয়ে খুশি প্রকাশ করেছেন সকলেই।
প্রতিবেদন: কৌশিক অধিকারী