মুর্শিদাবাদের কল্যাণপুর-১ পঞ্চায়েত আকারে বেশ ছোট। গ্রাম সংসদের মোট আসন সংখ্যা মাত্র ৮ টি। ২০১৮ সালে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে এই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধান নির্বাচিত হন টার্জান শেখ।
আরও পড়ুন: সত্যজিৎ রায়ের নামাঙ্কিত প্রেক্ষাগৃহের এ কী দশা! যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা
advertisement
জেলার শেষ সীমানা হিসেবে পরিচিত এই ছোট পঞ্চায়েতটি। ৬ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত খোরজুনা বাসট্যান্ড। ১৯৭৮ সালে কল্যাণপুর-১ পঞ্চায়েতটি গড়ে ওঠে। চারিদিকে ঘুরে বেড়ালে উন্নয়নের বেশ কিছু চিহ্ন সহজেই চোখে পড়বে। গ্রামে যাতায়াতের সুবিধার জন্য ঢালাই রাস্তা তৈরি, পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর মত বেশ কিছু কাজ করেছে পঞ্চায়েত। এদিকে গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, নিকাশী নালা তৈরি হলেও তা নিয়মিত সাফাই হয় না।
কল্যাণপুর-১ পঞ্চায়েতের সর্বত্র পথবাতি অধিক পরিমাণে চোখে পড়ে। এদিকে মুর্শিদাবাদ আর্শেনিক প্রবণ জেলা হিসেবে পরিচিত। তার মধ্যে পড়ে এই এলাকাও। এদিকে গত পাঁচ বছরে জলের সমস্যা মেটানোর জন্য পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
গ্রামবাসীদের কথা শুনে নিউজ ১৮ লোকাল কল্যানপুর-১ পঞ্চায়েতের যে রিপোর্ট কার্ড তৈরি করেছে তাতে ১০-এর মধ্যে ৭.৫ দেওয়াই যায়। এদিকে গত পাঁচ বছরের কাজ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান টারজান শেখ বলেন, জনগনের চাহিদা অনেক। সেই চাহিদা মেনে অনেক কাজ হয়েছে। তবে এখনও অনেক চাহিদা পূরণ করা বাকি। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে আবার ক্ষমতায় ফেরার বিষয়ে তিনি আত্মপ্রত্যায়ী। সেক্ষেত্রে বকেয়া কাজগুলো দ্রুত সেরে ফেলবেন বলে জানান।
কৌশিক অধিকারী