মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি ব্লকের বহরাতে আখের রসের গুড় তৈরি করতে দেখা যায়। সেখানে সকাল-বিকেল গুড় তৈরি করেন কারিগররা। মাটির হাঁড়িতে করে সে গুড় কিনে নেন ক্রেতারা।
কান্দি বহরা ছাড়াও খড়গ্রাম-সহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় আখের রস থেকে গুড় তৈরির কাজ করেন চাষিরা। বংশ পরম্পরায় বহরাতে গত কয়েক বছর ধরে আখের রসের গুড় তৈরি করেন কারিগররা। এ বছর কয়েক শতক জমিতে আখ চাষ করেছেন। কৃষিশ্রমিক ও গুড় তৈরির কারিগরদের মজুরিসহ তার খরচ হবে দুই লাখ টাকা। সব কিছু অনুকূলে থাকলে এবার তিনি সাড়ে তিন লাখ টাকার গুড় বিক্রির আশা করছেন চাষীরা।
advertisement
চাষীরা বলেন, বাবা-দাদা আখের গুড় বানাতেন। তবে কোভিড মহামারি পরিস্থিতির কারণে দুই বছর কাজ বন্ধ ছিল। তবে গত কয়েক বছর ধরে তিনি গুড় তৈরি করছেন। এখানকার গুড় মানসম্পন্ন হওয়ায় বেশ চাহিদাও রয়েছে। বিক্রি হচ্ছে ভালোই দরে।
আরও পড়ুন: ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪০০, শিক্ষক মাত্র ১জন! কয়েক বছর ধরে এভাবেই চলছে স্কুল
আখের গুড় তৈরির কারিগর মঙ্গল চরণ দাস বলেন, আখের রসের গুড় তৈরিতে জ্বালানি খরচ নেই। আখের পাতা ও ছোবড়া রোদে শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। বড় একটি ড্রামে ৪০ কেজি রস জ্বাল দিলে সেখান থেকে ১৫ কেজি গুড় পাওয়া যায়। বর্তমানে এই আখের গুড়ের চাহিদা তুঙ্গে। বর্তমানে চিনির থেকে আখের দাম বেশি। কেজি প্রতি ১০০ টাকা হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে, আখের গুড় ড্রামে করে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ফেরি করেন ব্যবসায়ীরা।
কৌশিক অধিকারী