শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা পৌঁছতে সময় কমানোর জন্য ২০০৯ সালে এই বাইপাস তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝে নানান টালবাহানায় কাজের গতি স্লথ হয়ে পড়ে। জমি জটে দীর্ঘদিন বন্ধ হয়েছিল কাজ। অবশেষে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে শেষের পথে বাইপাস নির্মাণ প্রক্রিয়া। এই বাইপাস চালু হলেই বহরমপুর শহরের নিত্য যানজট অনেকটা কমে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রয়াত বাবার স্বপ্ন পূরণে গ্রন্থাগারকে সব বই দিয়ে দিলেন মেয়ে
ইতিমধ্যেই ভাগীরথী নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ শেষের পথে। মেহিদিপুর থেকে মানকরা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে জোরকদমে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বলরামপুর থেকে বাইপাস শুরু হয়ে মেহিদিপুরে শেষ হচ্ছে। যা বহরমপুর শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২০০৯ সালে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এরপর ২০১৫ সালে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু জমিজটে আটকে থাকে কাজ।
বহরমপুর শহরের মধ্যিখান দিয়ে চলে গিয়েছে লালগোলা-শিয়ালদহ রেলপথ। এ ছাড়া শহরকে দু’ভাগ করে বেরিয়ে গিয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। যার জেরে বহরমপুরে যানজট লেগেই থাকে। উত্তরবঙ্গ হোক বা কলকাতা যেতে এই যানজটে আটকে থাকতে হতো সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এই বাইপাস তৈরি হয়ে গেলে বহরমপুরের যানজট সমস্যা প্রায় মিটে যাবে। আর তাতেই উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক সহজ হবে দক্ষিণের।
কৌশিক অধিকারী