এবছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। প্রায় পাঁচ হাজার নারকেলের মালা ব্যবহার করে তিনি গড়ে তুলেছেন এক মনোমুগ্ধকর দুর্গা মূর্তি। প্রায় আট ফুট উচ্চতা ও দশ ফুট চওড়া জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই মূর্তি ইতিমধ্যেই এলাকায় কৌতূহল ও প্রশংসার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ পুলিশের মানবিক মুখ! জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের জন্য যা করলেন DSP, ধন্য ধন্য করছে সবাই
advertisement
পাপিয়াদেবী জানিয়েছেন, গত ১৫ বছর ধরে তিনি প্রত্যেকবারই ফেলে দেওয়া বস্তু দিয়ে বানান দুর্গা মূর্তি। কয়েক মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি এই মূর্তি নির্মাণ করেছেন। তার এই মূর্তি নির্মাণ করতে তাকে সাহায্য করেছেন তার পরিবার-সহ এক ছাত্রও। তবে তার লক্ষ্য কেবল শিল্পসৃষ্টি নয়, সমাজসেবা। প্রতিবছরের মতো এ বছরও এই মূর্তি বিক্রি করে যে অর্থ আসবে, তা তিনি ব্যয় করবেন দুঃস্থ শিশুদের জন্য পুজোতে নতুন জামাকাপড় কিনতে। তার এই মহৎ উদ্যোগে প্রতিবছর অসংখ্য পরিবার উপকৃত হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উল্লেখ্য, পাপিয়া কর তাঁর ব্যতিক্রমী কাজ দিয়ে আগেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। একাধিক সংবাদপত্রের শিরোনামে এসেছেন তিনি। এমনকি কলকাতার এক নামী পুজো সংস্থা তার জীবনশৈলীকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিল, যার নামকরণ হয়েছিল ‘ভাগাড়ের মা’। সমাজসেবার সঙ্গে শিল্পকে মিলিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই প্রচেষ্টা পাপিয়া করকে আজ আলাদা পরিচয় দিয়েছে।