এবার থেকে বহু ব্যয় করে বা বহু ক্রোশ ঘুরে বেনারস বা হরিদ্বারে গঙ্গা আরতি দেখতে যেতে হবে না। পর্যটকদের জন্য মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে অনেক আগেই শুরু হয়েছে গঙ্গা আরতি। দশাশ্বমেধে দাঁড়িয়ে নয়, এখানকার সদরঘাটে বসেই দৃষ্টিনন্দন গঙ্গা আরতি দেখবেন সাধারণ মানুষ। আর এই কৃতিত্বের দাবিদার হল জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভা। আগে অস্থায়ী মঞ্চে এই আরতি করা হলেও এখন স্থায়ী মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে পরপর ঘূর্ণাবর্ত! দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার বদল, আসছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি! ওয়েদারের বড়় খবর
মুর্শিদাবাদ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভাগীরথী নদী। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে জিয়াগঞ্জ সেই ভাগীরথী অর্থাৎ গঙ্গা তীরের সদর ঘাটে, বেনারস ও হরিদ্বারের আদলে সন্ধ্যা হলেই দেখা যাবে আরতি। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে এবার থেকে গঙ্গার ধারে বসে সন্ধ্যাটা বেশ ভালভাবে, উপভোগ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে ও জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ ব্রাহ্মণ কল্যাণ সমিতির সহযোগিতায় শুরু হওয়া এই গঙ্গা আরতি দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ।
একসঙ্গে বসে মানুষ যাতে এই সন্ধ্যা আরতি দেখতে পান তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদ জেলাতে বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেও এই গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান।
গঙ্গা আরতি হলে এলাকার আর্থিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটবে এবং ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মুর্শিদাবাদ জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি দেখার পর অনেক পর্যটকদের মনে হত সন্ধ্যার পর কী করবেন। সেই ভাবনাও এই উদ্যোগের পেছনে গুরুত্ব পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন থেকেই জিয়াগঞ্জ সদর ঘাটে গঙ্গা আরতি দেখে মন ভরাবেন বলে আশা পর্যটক ব্যবসা সঙ্গে যুক্ত সকলের। ফলে দুর্গাপুজোর ছুটিতে এলেই একবার হলে উপভোগ করতে হবে এই গঙ্গা আরতি।
কৌশিক অধিকারী