এদেরকে গ্রেফতার করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জানা যায়, সোমবার আদালতে ডেকে চার শিক্ষককে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হওয়া চারজনেই মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা। সোমবার বিকেলে তাঁদের প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন ঃ সাধারণ জ্বর নাকি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত? কী ভাবে বুঝবেন? সময় থাকতে সতর্ক হন
advertisement
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের পর টাকা দিয়ে তারা চাকরি পেয়েছিলেন বলে সিবিআইয়ের কাছে স্বীকার করে নিয়েছিলেন চার অযোগ্য শিক্ষক। সিবিআইয়ের চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে নাম ছিল এই ধৃত শিক্ষকদের। তাঁদেরকেই এবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল বিচারক। নিয়োগ দুর্নীতিতে এই প্রথম গ্রেফতার করা হল অযোগ্য শিক্ষকদের।
নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথমবার চার অযোগ্য শিক্ষক গ্রেফতারের পর সরগরম রাজ্য তথা জেলা। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুর্নীতির দায়ে যারা ঘুষ দিয়েছেন ও যারা ঘুষ নিয়েছেন উভয়পক্ষই সমানভাবে দুষ্ট। তাই এই চারজনকে সাক্ষী নয় অভিযুক্ত হিসেবে জানিয়ে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এবার এই দুর্নীতির র্যাকেডে কার কার নাম সামনে আসে সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন ঃ এই মন্দিরের প্রসাদ খেলেই সেরে যায় সব রোগ! বিশ্বাসের জোরে ২০০ বছর ধরে ভিড় হচ্ছে এই মন্দিরে
ইতি মধ্যেই এই ঘটনার খবর গ্রামে আসতেই হতবাক সকলেই। জাহিরুদ্দিন সেখ নবগ্রামের কুসুম কামিনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত ছিলেন। সেই স্কুলের শিক্ষিকা বানী রায় সরকার জানান, আমাদের কাছে যোগদানের কাগজ এসেছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে। তাই আমরা যোগদান করিয়েছিলাম। ২০১৮ সাল থেকেই এই স্কুলে কর্মরত ছিলেন জহিরুদ্দিন সেখ। গতকাল অর্থাৎ সোমবার স্কুলে আসেননি ফোনের মারফত ছুটি নিয়েছিলেন।
অন্যদিকে সিঙ্গার পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন সায়গল হোসেন। সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঘটনা জানাজানি হতেই হতবাক সকলেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অপুর্ব মার্জিত জানান, ২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসে যোগদান করেছিল। তবে কি কারণে এই গ্রেফতার তা আমাদের জানা নেই। শিক্ষক হিসেবেই ভালো কাজ করতেন।
কৌশিক অধিকারী