কালীপুজোর রাতে এই গ্রামে মোট ৪৮টি কালীপুজো হয় বলে জানা যায়। প্রায় ৪০টির বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন করা হল। বর্তমানে এই গ্রামে প্রায় ৪ হাজার মানুষের বসবাস। গ্রামটি শক্তিপুজোর জন্য প্রসিদ্ধ। প্রতিবছর এই গ্রামে কালীপুজো ঘিরে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পুজোর সময় আশ পাশের গ্রামগুলি ছাড়াও বাইরে থেকে প্রচুর দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। এখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে যে উন্মাদনা থাকে তা জেলার অন্য কোনও মহকুমায় দেখা যায় না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভাই ফোঁটা স্পেশাল, দশ কেজি ওজনের ছানাবড়া! জেলায় হৈ হৈ কাণ্ড
এক সময় এই গ্রামে ৮০-৯০টি কালীপুজো হত। বর্তমানে কমে গিয়ে এখন ৪৮ টি মত পুজো হয় বলে জানা যায়। তাই এই গ্রামটিকে কালীক্ষেত্র বলা হয়। সমগ্র মুর্শিদাবাদ জেলার আর কোথাও এমন ধুমধাম চোখে পড়ে না। দুর্গাপুজোর থেকে কালীপুজোতে জৌলুস বেশি দেখা যায়। বেশির ভাগ পুজো কমিটির বাজেট লক্ষাধিক টাকার ও বেশি হয়ে থাকে। প্রাচীন বড় রায় কালী, ছোট কালীবাড়ির কালী, গঙ্গাময়ী, বেনে কালী কৌলিক পুজো বলে পরিচিত।
আরও পড়ুনঃ জেলার বিভিন্ন থানার উদ্যোগে গণ ভাই ফোঁটার আয়োজন
কালীপুজোকে ঘিরে বিসর্জনের দিন গোকর্ণ হাইস্কুল চত্বরে বিশাল মেলা বসে। এলাকায় লক্ষাধিক মানুষ ভিড় করেন আতশবাজি প্রদর্শনী দেখার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন। বনাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়েই চলে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব। মধ্যে রাত পর্যন্ত চলে এই আতশবাজি প্রদর্শনী। পাশাপাশি যেকোন রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।
Koushik Adhikary