মফস্বল থেকেও একটু দুরে অবস্থিত এই জজান গ্রাম। তবে সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ব্যাপকভাবে সেজে ওঠে গোটা গ্রাম। থিমের অভিনবত্বে একে অপরকে টেক্কা দেন উদ্যোক্তারা। কোথাও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একাল-সেকাল, কোথাও বা ডোকরা কাজ হল সরস্বতী পুজোর থিম। আবার কৃষ্ণের বংশী মুরারী থিমের আদলে সাজানো হয়েছে সরস্বতী মণ্ডপ। সঙ্গে আছে বাহারী আলোকসজ্জা। কোথাও ২ লক্ষ টাকা, কোথাওবা ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে বাগদেবীর মণ্ডপসজ্জা।
advertisement
আরও পড়ুন: দেশ রক্ষার জন্য ছেলেকে সেনাবাহিনীতে পাঠান, শেষ পর্যন্ত সেই সন্তানেরই মূর্তি বসাতে হল মা-বাবাকে!
করোনা মহামারি পরিস্থিতির পর এই বছর সরস্বতী পুজো দেখতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায় জজান গ্রামে। সরস্বতী পুজোর জন্য জেলাজুড়ে নাম আছে এই গ্রামের। শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, অন্য জেলা থেকেও পর্যটকরা এখানকার সরস্বতী পুজো দেখতে আসেন।
পুজো উদ্যোক্তারা জানান, জজান গ্রামে ছোট, বড়, পারিবারিক মিলিয়ে প্রায় ৩৫ টি পুজো হয়। তবে প্রত্যেক ক্লাবের সঙ্গে অন্য ক্লাবের প্রতিযোগিতা থাকে সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করেই। প্রায় ১৫ টি বড় বড় থিমের পুজো হয়। কোথাও থাকে নজরকাড়া মণ্ডপসজ্জা, কোথাও আবার প্রতিমাই তৈরি হয় থিমের আদলে। পাশাপাশি আলোকসজ্জাতেও থাকে প্রতিযোগীতা। সরস্বতী পুজোর সময় এই জজান গ্রাম কার্যত পর্যটন ক্ষেত্রে পরিণত হয়। দূর দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা এখানকার পুজো দেখে বেশ খুশি হয়েছেন।
কৌশিক অধিকারী