প্রতিমা শিল্পী তাপস দাস তৈরি করছেন মা দুর্গার প্রতিমা। সহযোগিতায় রয়েছেন রাজেশ দাস ও হাবল সেখ। আর বিশ্ব সবুজায়নের কথা মাথায় রেখে দুর্গা মায়ের প্রতিমাতেও রয়েছে বিশেষ চমক। দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল সজ্জা থেকে শুরু করে আলোকসজ্জা-সহ সমস্ত কাজ করে থাকেন আবাসিকরাই। পুজোর ক’টা দিন আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন সংশোধনাগারের সমস্ত আবাসিকরা। বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের কারারক্ষী সুতনু মালাকার বলেন, “বিশ্ব উষ্ণায়নের কথা মাথায় রেখে গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তা সকলের কাছে তুলে ধরতে বিশ্ব সবুজায়ন থিম করা হয়েছে। প্রতি বছর আবাসিকরা নিজের হাতেই পুজোর সব কাজ করেন। আমরা বাইরে থেকে সমস্ত সরঞ্জাম এনে ব্যবস্থা করে দিই আর আবাসিকরা প্রতিমা, প্যান্ডেল সব তৈরি করে।”
advertisement
আরও পড়ুন: নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে নাট মন্দিরের নবনির্মিত অংশেই এবারের দুর্গাপুজো
আরও পড়ুন: নদীর কোলে সবুজ চরে সময় কাটাতে চান, পুজোর ছুটিতে ঢুঁ মারতে পারেন বেনাপুর চরে
সংশোধনাগারের অপর কারারক্ষী মিন্টু সোম বলেন, “পুজোর ক’টা দিন আমরা সংশোধগারের আবাসিকদের নিয়ে পরিবারের মতো আনন্দে মেতে উঠি। সংশোধনাগারের আবাসিকরা নিজেরাই প্রতিমা তৈরি, প্যান্ডেল তৈরি, আলকসজ্জা করছে। ওরা নিজেরাই শিখে এইসব কাজ করছে। যার কারনে সংশোধনগার থেকে বেড়িয়ে ওরা নিজেদের রুজি রোজগারের ব্যবস্থা করতে পারবে।”
সংশোধনাগারে বন্দী থাকলেও মা দুর্গার আগমনী উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত নয় ওঁরা। তাই সংশোধনাগারের আবাসিকদের হাতেই তৈরি হচ্ছে দুর্গা প্রতিমা। প্রতি বছরের মতো এই বছর ৭৭তম বর্ষেও মা দুর্গার আগমনের প্রস্তুতি তুঙ্গে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে।