এই খবর শুনেই মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর-১ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি বসানো হল দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। হাজির করা হল পঞ্চায়েত প্রধান থেকে পঞ্চায়েত সদস্য সহ সরকারি কর্মীদের। ফোন করে ডাকা হল কয়েকজন বাসিন্দাকেও। আজকে এই ঘটনার সাক্ষী থাকল ভরতপুর ১ ব্লকের কিষাণ মাণ্ডি এলাকাতে। জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১২টা নাগাদ সেখানে হঠাৎ করেই প্যান্ডেলের কর্মীদের বাঁশ বাঁধতে দেখা যায়। দড়ি দিয়ে ঝোলান হয় দুয়ারে সরকারের বিভিন্ন ফ্লেক্স। প্যান্ডেলের চেয়ার আসতেই সেখানে ল্যাপটপ খুলে বসে পড়েন সরকারী কর্মীরা।
advertisement
এরপর বেলা ১টা বাজতেই সেখানে এসে পৌঁছন রাজ্য শিশু ও নারী বিকাশ দফতরের ডিরেক্টর অর্চনা ভকত। তিনি গাড়ি থেকে নেমে সরকারী কর্মীদের কাছে থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। ও দুয়ারে সরকারে আসা দুই তিনজনের সঙ্গে কথা বলেন। অর্চনা ভকত চলে যেতেই ওই ক্যাম্পও ফাঁকা হয়ে যায়। তিনি গন্তব্য চলে যাওয়ার সঙ্গে প্যান্ডেলও খুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এই কারণেই হতবাক হয়ে পড়েন দুয়ারে সরকার শিবিরে পরিষেবাও নিতে আসা সাধারণ মানুষজন।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পাওয়া যায় দুয়ারে সরকার শিবির বসেছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের কাগজ জমা দিতে এসেছিলাম। তবে এখন দেখা যাচ্ছে সেই শিবির আর নেই। যদিও ভরতপুর এক ব্লকের বিডিও সুচন্দন বৈদ্য জানান, এটা দুয়ারে সরকার শিবির নয়, এটা পরিষেবা শিবির। তবে যে অভিযোগ উঠছে তা একদমই সত্য নয়।
আরও পড়ুন, পুজোর মুখে ঘূর্ণিঝড়? শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, সুখবর দিচ্ছে না হাওয়া অফিস
আরও পড়ুন, চলন্ত ট্রেনে ভয়াবহ আগুন, ফের রেলে দুর্ঘটনা! দাউ দাউ করে জ্বলছে কামরা
যদিও এই প্রসঙ্গে শিশু ও নারী বিকাশ দফতরের সচিব অর্চনা ভকত জানান, কী সিডিউল আছে, সেটা আগে দেখতে হবে। আমি বিষয়টি জানি না, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। যদিও গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুয়ারে সরকার শিবির আয়োজন করা হলেও সেই ক্যাম্পে মিলছে না পরিষেবা।
কৌশিক অধিকারী