বাড়িতে মোমবাতি আমরা সকলেই জ্বালাই। এই বছর মোমবাতির কালীমূর্তি সৃষ্টির মাধ্যমে এর ব্যতিক্রমী ব্যবহার করলেন এক শিক্ষক। তিনি রবীন্দ্রগবেষক,প্রাবন্ধিক, পেশায় শিক্ষক,জাতীয় পুরস্কারজয়ী ড: সায়ন্তন মজুমদার। আড়াই ইঞ্চির লাল একটি মোমবাতি কেটে তৈরি করেছেন ডাকের সাজের ত্রিনয়নী কালিকা। খড়্গ ও অভয়মুদ্রাদায়িনী দেবীর হাতের প্রতিটি আঙুল এমনকি গলায় ঝুলন্ত নরমুণ্ড কিংবা জবাফুলগুলি অপরিসীম দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। তাও আবার মাত্র দুই দিনে।
advertisement
আরও পড়ুন Kali Puja 2022: ৫৬ কেজি রুপোর তৈরি কালী মূর্তি, পাহারা দিচ্ছে পুলিশ
আরও পড়ুন Dhanteras: এক রাতেই বড়লোক হলেন ঝাঁটা ব্যবসায়ীরা, ধনতেরসে ঝাঁটা কেনার হিড়িক জেলায়
তাঁর লেখা থেকে আমরা অনায়াসে জেনে নিতে পারি, সারাবছর মুর্শিদাবাদে পূজিত নানা রূপের কালীপ্রতিমার কথা। জেলার ইতিহাস বিষয়ে দীর্ঘ দেড় যুগের এই ক্ষেত্রসমীক্ষক ‘তৌলনিক অনুভাবনে শ্রীরবীন্দ্রনাথ’, ‘রবিলিপিকর শ্রীসুধীরচন্দ্র কর’ নামে দুটি গ্রন্থের লেখক। নানা অপ্রকাশিত নথি, দলিল,চিঠিপত্র হতে তথ্য আবিষ্কার করা তাঁর নেশা। সম্প্রতি সায়ন্তনবাবুর জীবনীমূলক তথ্যচিত্র সম্প্রচারিত হয়েছে। এই বছর তাঁর অতুলনীয় কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে সাবানের নেতাজি, চকের সরস্বতী,সাবানের বঙ্গবন্ধু, ফুলের আল্পনায় স্বাধীনতার পঁচাত্তর এবং শ্রীঅরবিন্দের সার্ধশতবার্ষিকী।ইতিপূর্বে সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন চকের দুর্গা,সাবানের জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা, পাতার রবীন্দ্রনাথ, মোমের মদিনা গড়ে। তবে দীপাবলিতে মোমবাতি কেটে মা কালী তৈরি শিক্ষকের ভুমিকায় প্রসংশিত জেলাবাসী ।
কৌশিক অধিকারী