পরিবারের অন্যতম সদস্যরা জানিয়েছেন, বাঘডাঙ্গা ভাঙা বাড়ি নামেই খ্যাত এই পুজো, বর্তমানে এই পুজো নাম বুড়িমার দুর্গাপুজো। আগে ভাঙা বাড়ি থাকলেও বর্তমানে মন্দির সংস্কার করা হয়েছে। তবে ৪০০বছর আগে পুজো সুচনাকালীন দেবীর গায়ের রং ছিল গৌড়ি, বর্তমানে দেবীর গায়ের রং এবং শাড়ির রং এক আছে এবং দেবীর এখানে কোন রং পরিবর্তন করা হয় না। আগে যে রঙে পূজিত হয়ে এসেছেন বর্তমানে সেই রঙেই পূজিতা হন দেবী মা দুর্গা। জিতা অষ্টমির দিনে এক বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: শারীরিক নির্যাতন, হেনস্থা! গোপনে সালিশি সভা ডেকে মহিলাকে দেওয়া হল বিষ!
প্রাচীন কালের এই পুজো দেখতে বহু দুর দুরন্ত থেকে মানুষ জন আসেন পুজো দেখতে। তবে এখানে সিংহ বদলে নরসিংহ দেখা যায়, রাজ আমলে বোধনের দিন থেকে ঘট এনে পুজো পাঠ করা হলেও বর্তমানে ষষ্ঠীর দিন থেকে ঘট এনে পুজো পাঠ শুরু করা হয় বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে বাঘডাঙ্গা জমিদারবাড়ি ভগ্নদশা কাটিয়ে নিয়ম নিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে বর্তমানে পরিবারের সদস্যরা এই প্রাচীন পুজো আজও চালিয়ে আসছেন। কোভিড মহামারি পরিস্থিতির পর এবছর দুর্গাপুজো মেতে উঠবেন বাঘডাঙ্গা জমিদারবাড়ির সদস্যরা ।
কৌশিক অধিকারী