আমলাই সহ আশেপাশের এলাকায় মানুষ উৎসবের আনন্দে মেতেছেন পুজোকে ঘিরে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সোমবার এই পুজা হলেও পুজা ঘিরে আগামী তিন দিন মন্দির প্রাঙ্গণে চলবে একাধিক অনুষ্ঠান৷ বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতি বোলান গান, বাউল সঙ্গীত সহ একাধিক অনুষ্ঠান রয়েছে এই পুজোকে ঘিরে। সোমবার সকালে ঢাল ঢোল বাজনা সহকারে বনাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়েই এই পুজোর আয়োজন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে ফের বন্দুক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার মুর্শিদাবাদে
বাংলার লৌকিক জীবনে ধর্মরাজ হলেন গ্রামদেবতা। আঞ্চলিক এই দেবতার বাহন হিসেবে দেখা যায় পোড়া মাটির তৈরি ঘোড়া। দূরারোগ্য ব্যাধি নিরাময়ের জন্য ও অন্যান্য নানান জটিল সমস্যা থেকে সুরাহা পেতে অনেকেই ধর্মরাজকে মানত হিসেবে দান করে থাকেন মাটির তৈরি এই ঘোড়া।
ধর্মরাজ পুজো সাধারণত বুদ্ধপূর্ণিমা বা গুরুপুর্নিমা দিনে পালিত হয়ে থাকে। ধর্মরাজের নিজস্ব কোনও মূর্তি নেই। শিলাকেই দেবতা হিসেবে মান্য করা হয়। জনশ্রুতি আছে, বহু আগে গ্রামের শেষ সীমানায় আঁকড়া গাছের তলায় ধর্মরাজ অধিষ্ঠিত থাকতেন। ধর্মরাজ পূজার সঙ্গে শিবের যোগসূত্র রয়েছে। কারণ মন্দিরে ধর্মরাজের সঙ্গে লৌহশলাকা যুক্ত একটি কাঠের পাটাতনকে রাখা হয় যা বাণেশ্বর নামে পরিচিত।
কৌশিক অধিকারী