কারিগরদের কথায়, এ বছর সোনার চাহিদাও তুঙ্গে । দাম বৃদ্ধি হলেও ধনতেরসের পুরুষের চাহিদা মুম্বই চেন, গোট চেন-সহ বিভিন্ন চেনের ।তবে সোনার দাম বৃদ্ধি হলেও এ বছর বাজারও বেশ ভাল বলেই জানাচ্ছেন কারিগর সুদীপ মণ্ডল। অন্য এক কারিগর জানান, বাড়ির গৃহবধূ থেকে মহিলা সকলেরই সোনার প্রতি বেশি আকর্ষণ থাকে। মহিলাদের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের সোনার চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তবে এ বছর দাম বৃদ্ধির কারণে বাজারে ভাটা পড়তে পারে। তবে মহিলাদের চোকার থেকে শাঁখা ও পলা বাঁধানো বিভিন্ন রকমের ডিজাইন তৈরি করা হচ্ছে বলেই জানান কারিগর উজ্জ্বল।
advertisement
যদিও স্বর্ণব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বড় বড় শোরুমের কারণে ছোট ছোট দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে এ বছর সোনার বিভিন্ন রকমের সাজের পাশাপাশি, রুপোর চাহিদাও তুঙ্গে। রুপোর তৈরি এ বছর শোপিস নিয়ে আসা হয়েছে বাজারে। বিভিন্ন রকমের রুপোর ছোট ছোট ঠাকুর নিয়ে আসা হয়েছে চাহিদা অনুযায়ী, জানান ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন : আগামিকাল ধনতেরসে যমদেবতার উদ্দেশে এভাবে জ্বালুন প্রদীপ! দূর হবে অর্থাভাব
কথিত, ধনতেরসের দিন বা তার আগে থেকেই সোনা কেনার রেওয়াজ রয়েছে। এ বছরে ধনতেরস ১০ নভেম্বর। সোনা কেনার আগে কমপক্ষে পাঁচটি বিষয়ের দিকে আরও ভাল করে নজর দিতে হবে। পাথর সেটিং, হিরের গয়না তৈরিতে সাধারণত ১৮ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়। একেবারে খাঁটি সোনা এতটাই নরম হয় যে তা দিয়ে গয়না বানানো যায় না। ফলে গয়নার সোনা পুরোপুরি খাঁটি হয় না। সোনার সঙ্গে অন্য কী ধাতু মেশানো হচ্ছে তার উপর নির্ভর করেই সোনার রং বদলে যায়।
ফলে সোনা কেনার ক্ষেত্রে প্রতারিত হওয়া মোটেই কাঙ্খিত নয়। তাই ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডসের সার্টিফাই করা সোনা কেনা উচিত। এছাড়াও, সবসময় হলমার্ক করা সোনা কিনুন। হলমার্ক সার্টিফিকেশন সোনার বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করে। সবচেয়ে বিশুদ্ধ সোনা হল ২৪ ক্যারেট সোনা। কিন্তু এই সোনা দিয়ে সবসময় গয়না তৈরি করা হয় না। ২২ ক্যারেট এবং ১৮ ক্যারেট সোনা দিয়েই গয়না তৈরি হয়। সোনা কেনার আগে অবশ্যই ক্যারেট জেনে নিন।