TRENDING:

Murshidabad News: মৎস্যজীবীদের উদ্যোগে অসময়ে চড়ক পুজো

Last Updated:

চড়ক উপলক্ষে এক সময় বহু নৃশংস প্রথা প্রচলিত ছিল। চড়ক সন্ন্যাসী নিজের শরীরের মধ্যে ধারাল অস্ত্র ঢুকিয়ে দেহকে কষ্ট দিতেন। দেখা যেত পিঠে, হাতে, পায়ে, জিভে লোহার শলাকা বিঁধে তাঁরা সংযমের প্রমাণ দিচ্ছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মুর্শিদাবাদ: অসময়ের চড়ক পুজো ফরাক্কাতে। আয়োজনে সেখানকার মৎস্যজীবীরা। প্রায় ৫০ বছর ধরে ফরাক্কার বেনিয়াগ্রামে মৎস্যজীবীরা এই চড়ক পুজো করে আসছেন। এই পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এখানে চড়ক পুজো উপলক্ষে কুমিরের পুজো হয়। এছাড়াও জ্বলন্ত আগুনের ওপর হাঁটা, কাঁটা ছুরির উপর লাফানো, বাণ ফোঁড়া, শিবের বিয়ে, অগ্নি নৃত্য, চড়ক গাছে দোলা এবং হাজরা পুজো করা। এইসব অদ্ভুত কাণ্ড দেখতে দূর দূরান্তের গ্রাম থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন।
advertisement

আরও পড়ুন: ফলহারিণী কালীপুজোয় শিকার উৎসবে রাশ টানল প্রশাসন, বাঁচল বহু বন্যপ্রাণ

চড়ক উপলক্ষে এক সময় বহু নৃশংস প্রথা প্রচলিত ছিল। চড়ক সন্ন্যাসী নিজের শরীরের মধ্যে ধারাল অস্ত্র ঢুকিয়ে দেহকে কষ্ট দিতেন। দেখা যেত পিঠে, হাতে, পায়ে, জিভে লোহার শলাকা বিঁধে তাঁরা সংযমের প্রমাণ দিচ্ছেন। তবে ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার আইন করে এইসব নৃশংস প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। স্বাধীন ভারতে এগুলি কঠোরভাবে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যদিও আজও বেশ কিছু প্রান্তিক গ্রাম্য এলাকায় চড়ক উপলক্ষে কিছু নৃশংস প্রথার দেখা পাওয়া যায়।

advertisement

View More

তবে গ্রাম বাংলায় চড়ক পুজো বলে যে প্রথা প্রচলিত আছে তা সাধারণত চৈত্র সংক্রান্তিতে আয়োজিত হয়। তার আগে এক মাস ব্যাপী চড়ক সন্ন্যাসী হিসেবে অনেকেই কৃচ্ছ সাধন করে থাকেন। তবে ফরাক্কার জাফরগঞ্জের তামাশা ফিল্ড এলাকার এই চড়ক পুজো ফলহারিণী অমাবস্যার সময় আয়োজিত হয়। যা চৈত্র সংক্রান্তির চড়কের থেকে ব্যতিক্রম।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

কৌশিক অধিকারী

বাংলা খবর/ খবর/মুর্শিদাবাদ/
Murshidabad News: মৎস্যজীবীদের উদ্যোগে অসময়ে চড়ক পুজো
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল