আরও পড়ুন: ফলহারিণী কালীপুজোয় শিকার উৎসবে রাশ টানল প্রশাসন, বাঁচল বহু বন্যপ্রাণ
চড়ক উপলক্ষে এক সময় বহু নৃশংস প্রথা প্রচলিত ছিল। চড়ক সন্ন্যাসী নিজের শরীরের মধ্যে ধারাল অস্ত্র ঢুকিয়ে দেহকে কষ্ট দিতেন। দেখা যেত পিঠে, হাতে, পায়ে, জিভে লোহার শলাকা বিঁধে তাঁরা সংযমের প্রমাণ দিচ্ছেন। তবে ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার আইন করে এইসব নৃশংস প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। স্বাধীন ভারতে এগুলি কঠোরভাবে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যদিও আজও বেশ কিছু প্রান্তিক গ্রাম্য এলাকায় চড়ক উপলক্ষে কিছু নৃশংস প্রথার দেখা পাওয়া যায়।
advertisement
তবে গ্রাম বাংলায় চড়ক পুজো বলে যে প্রথা প্রচলিত আছে তা সাধারণত চৈত্র সংক্রান্তিতে আয়োজিত হয়। তার আগে এক মাস ব্যাপী চড়ক সন্ন্যাসী হিসেবে অনেকেই কৃচ্ছ সাধন করে থাকেন। তবে ফরাক্কার জাফরগঞ্জের তামাশা ফিল্ড এলাকার এই চড়ক পুজো ফলহারিণী অমাবস্যার সময় আয়োজিত হয়। যা চৈত্র সংক্রান্তির চড়কের থেকে ব্যতিক্রম।
কৌশিক অধিকারী