পরিবার সূত্রে খবর, মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয় বিএসএফ জওয়ানের। ছুটিতে এসেছিলেন ইদ-উদ-জোহার আগে। গত ৯ জুলাই বড়ঞার সাবলপুর এলাকায় ঘটে দুর্ঘটনাটি। বড়ঞা থানার একঘরিয়া এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। সেখানেই যাচ্ছিলেন স্ত্রীকে নিয়ে মোটরবাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। রাজ্য সড়কে হঠাৎই গাড়ির সামনে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি চলে আসায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন দম্পতি। গুরুতর আহত হন দু’জনেই। স্ত্রী ভর্তি ছিলেন কান্দি হাসপাতালে। জওয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর সেখান থেকে কলকাতার নিউরো সায়েন্সে পাঠানো হলেও মৃত্যু হয় মঙ্গলবার রাতে।
advertisement
আরও পড়ুন: গরম গরম চায়ে চুমুক সঙ্গে দোকানদারের হরবোলা! জমজমাট সন্ন্যাসীবাবুর চায়ের দোকান
আরও পড়ুন: পেট্রল পাম্পে দাউদাউ আগুন! অগ্নিদগ্ধ তিন যুবক, ভয়াবহ কাণ্ড বসিরহাটে
নিহত জওয়ানের নাম জালালউদ্দিন সেখ। ১৯৯৪ সাল থেকে বিএসএফ-এ কর্মরত। হেড কন্সস্টেবল পদে ছিলেন তিনি। বুধবার মধ্যরাতে জওয়ানের নিথর কফিনবন্দি দেহ নিয়ে আসা হয় বালিয়া হাট গ্রামে বাড়িতে। পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। পুরো গ্রাম জেগে বসে থাকে শেষবারের মতো নিহত জাওয়ানকে দেখার জন্য।
কফিনবন্দি দেহ বাড়িতে পৌঁছাতেই ভিড় জমে। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবার ও গ্রামের মানুষজন। নিহত জওয়ানের স্ত্রী পাপিয়া ইয়াসমিন জানান, এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি গাড়ির সামনে চলে আসায় তাকে বাঁচাতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটে। শোকাচ্ছন্ন রয়েছেন তিনি। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। গ্রামবাসীদের কথায়, তিনি অত্যন্ত মিষ্টভাষী এবং ভাল মানুষ ছিলেন। সকলের পাশে দাঁড়াতেন বিপদের সময়।
কৌশিক অধিকারী