যদিও গুলি চালানোর পর পলাতক হাসিবুর। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ রক্তাক্ত যুবকের দেহ উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন বিনা বেতনে পড়িয়েছেন ৭০০-র বেশি পড়ুয়াকে! এই শিক্ষক যেন মাসিহা
বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে হাসিবুর সেখ বন্ধু মাইনুল সেখকে ফোন করে ডেকে পাঠায় ভাকুড়িতে। দুইজনের গল্প হতে হতে কোনও একটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তারপর নিজের কাছে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মাইনুল সেখকে গুলি করে হাসিবুর। এরপর হাসিবুর বেলডাঙায় চলে যায়। আত্মীয়দের কাছে বন্ধুকে হত্যার বিষয়টি জানায় সে৷ তারপর সেখান থেকেও পলাতক হয়ে যায় হাসিবুর। বিষয়টি জানা জানি হতেই বহরমপুর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে।
advertisement
আরও পড়ুন- বয়স মাত্র দশ, গাইডের কাজ করেই প্রকৃতি বাঁচাতে নেমেছে পাহাড়ের সৌরভ
মৃতের দাদা আজিজুল সেখ জানান, পেশায় গাড়ির চালক আমার ভাই৷ বিয়ে হয়েছিল। একটি তিন বছরের সন্তান রয়েছে। দুইজনে একসঙ্গে গাড়ি চালাত। আমি চাইব আমার ভাইয়ের খুনিদের কঠোরতম শাস্তির হোক। তবে কী কারণে এই হত্যা তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।বহরমপুর শহরের ভাকুড়ি মুলত বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে জমজমাট ছিল শনিবার। গুলি চলার আওয়াজ সেই ভাবে কেও শুনতে পাননি বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের ।কী কারণে এই গুলি করে খুন, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কৌশিক অধিকারী