আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘ ও চোরাশিকারিদের উপর নজরদারি চালাবে ড্রোন
আলকাপ বাংলার নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য। খোশ গল্প-গুজবের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা, মশকরা, টিপ্পনি কাটা ইত্যাদি আলকাপের প্রধান বৈশিষ্ট্য। মুর্শিদাবাদ জেলার বিশেষ লোকনাট্য আলকাপ। যুগ যুগ ধরে এই লোকসংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জেলার বহু মানুষ। এর মাধ্যমেই হয় উপার্জন। এখনও মুর্শিদাবাদে বেশ কিছু আলকাপ শিল্পী আছেন। যদিও আধুনিক বিনোদনের দাপটে আমজনতার কাছে আলকাপের চাহিদা আগের মত নেই। ফলে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত শিল্পীরা আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন।
advertisement
সমাজের বিভিন্ন সমস্যা বা সামাজিক ব্যাধি সহ বিবিধ বিষয়কে তুলে ধরা হয় আলকাপ পালার মাধ্যমে। প্রতিটি দলে থাকেন কমবেশি ১৫ জন শিল্পী। পালার প্রধান দুই চরিত্র হল ‘সরকার’ ও ‘কাপ্যাল’। এই দু’জনকে মূলত দুই ভাই হিসেবে দেখান হয়। এছাড়াও থাকে ‘ছোকরা’, ‘ছুকরি’দের মতো চরিত্র। থাকেন বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরাও। আলকাপ পরিবেশনের ধরনটাও বেশ ভিন্ন। শিল্পীরা সবাই মিলে গোল করে বসেন। তারপর শুরু হয় পালা। এক একটা পালা চলে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে।
এদিকে বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী পালার শিল্পীরা জানিয়েছেন, আলকাপের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আগে গ্রামে গ্রামে আলকাপের আসর বসত, কিন্তু এখন চাহিদা প্রায় নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে সরকারের সাহায্যও পর্যাপ্ত নয় বলেই জানাচ্ছেন শিল্পীরা। তবুও মুর্শিদাবাদ জেলার এই প্রাচীন লোক সংস্কৃতি আলকাপ শিল্প বাঁচিয়ে রেখেছেন এখনও অনেক পরিবার।
কৌশিক অধিকারী