বহরমপুরের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা, আক্রান্ত সুরোজ শেখ জানান, "বৃহস্পতিবার রাত্রে তিনজন ছেলে মাদক দ্রব্য হেরোইন খাচ্ছিল। তার প্রতিবাদ করতেই আমার ওপর হামলা চালায় এবং মারধর করে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় রেল লাইনের ওপর আমাকে ফেলে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করতে থাকে।" স্থানীয় বাসিন্দারা সুরোজ শেখের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুরোজ। এই ঘটনার জেরে তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ (Murshidabad News)।
advertisement
আরও পড়ুন: পরনে নতুন পাঞ্জাবি, গলায় মালা, বিয়ে করতে এসে কেন শ্রীঘরে গেল বর?
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে, ভগবানগোলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হেরোইন ও অন্যান্য মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় আটক করা হয়েছে একাধিক জনকে। মাদক দ্রব্য ও হেরোইন যে অত্যন্ত ক্ষতিকর নেশা, তা যে সর্বনাশ ডেকে আনছে, তা নিয়েও একাধিকবার প্রচার চালানো হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তারপরও যুব সমাজের মধ্যে হেরোইনের আসক্তি কাটানো সম্ভব হচ্ছে না। এদিন তার প্রতিবাদ করতেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় তুলেছেন জেলার শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ জন।
অন্যদিকে, জগদ্দলের শ্যামনগর নতুনগ্রামে গৃহবধূকে হুমকি দিয়ে লাগাতার চিঠি আসছে, আতঙ্কে পরিবার। জগদ্দলের শ্যামনগর নতুনগ্রামে গৃহবধূকে হুমকি দিয়ে একের পর এক চিঠি আসছে কিছুদিন ধরে। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের পাশাপাশি হুমকি দিয়ে লেখা চিঠির জেরে তীব্র আতঙ্কে শ্যামনগর নতুনগ্রামের ওই বধূ।
আরও পড়ুন: একটি মাথা, আটটি পা, দুটি ধর - বিরলদর্শন শাবককে ঘিরে তোলপাড় দেগঙ্গা!
শুধু গৃহবধূ কিংবা তার ভাইঝি হুমকির শিকার নন, চিঠিতে পড়শি আরও তিন মহিলার মুখেও অ্যাসিড ছুঁড়ে মারার হুমকি দিয়ে বধূর ঘরে চিঠি ফেলা হয়েছে। হুমকি দিয়ে লেখা একাধিক চিঠি পাওয়ার পর গত ১৮ এপ্রিল তিনি জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রশাসন ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানানোর পর পরিবারের বাচ্চাদের অপহরণ করার হুমকি এসেছে চিঠির মাধ্যমে। আতঙ্কিত গৃহবধূর দাবি, রাতের অন্ধকারে পিছনের দিকের জানলা দিয়ে হুমকি দিয়ে চিঠি ঘরে ফেলা হচ্ছে। তবে চিঠি কে লিখছেন বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত? তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন তদন্ত করে অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করুক।
Koushik Adhikary