শুক্রবার যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা হলেন, সুব্রত সামন্ত রায়, কৌশিক ঘোষ, শাহিদ ইমাম, শেখ আলি ইমাম, আব্দুল খালেক এবং চন্দন মণ্ডল। আর এই ছয়জনের মধ্যে অন্যতম কৌশিক ঘোষ। মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার ভড়ঞা এলাকার বাসিন্দা। কৌশিক নিজেকে দিল্লিতে পেট্রোলিয়াম সংস্থার কর্মী হিসেবে পরিচয় দিত গ্রামে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন সিবিআইয়ের অস্ত্র বিভিন্ন জেলার এজেন্ট
advertisement
শনিবার সকাল থেকেই দেখা যায়, ভড়ঞা এলাকায় কৌশিক ঘোষের বাড়িতে তালা ঝুলছে। গ্রামবাসীদের দাবি, কৌশিকের বাড়িতে টাকা দিতে ভিড় করতেন অনেকেই। বেকার যুবক ও যুবতী থেকে অভিভাবকরা আসতেন তার বাড়িতে।
শুধু তাই নয় কৌশিক ঘোষ ধৃত কুন্তলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।গ্রামের বাসিন্দারা জানান, কৌশিক ঘোষের কাছে টাকা কেন দিতে আসতেন তা জানেন না গ্রামের মানুষ। ধৃত কৌশিক ঘোষের সঙ্গে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ ঘোষের একাধিক ছবিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে যা স্থানীয়দের একাংশের দাবি। বহু জায়গায় একসঙ্গে দেখে গিয়েছে কৌশিক ঘোষ ও বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে। তবে তিনি নিজের আত্মীয় থেকে পাড়া প্রতিবেশী অনেকের চাকরি করে দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি কুন্তলের এজেন্ট ছিলেন কৌশিক।
একদা কৌশিক ঘোষ জীবন কৃষ্ণ সাহার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার দাবি, ওই যুবক তার ঘনিষ্ঠ নন। অনেকেই বিধায়কের কাছে আসেন। ছবি তোলেন। সেরকমই ছবি তুলেছিলেন কৌশিক।যদিও গ্রামের বাসিন্দারা জানান, যদি কৌশিক ঘোষ দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তার শাস্তি হোক। কারণ তিনি অর্থের বিনিময়ে একাধিক চাকরি করেছেন নিজের আত্মীয় থেকে পাড়া প্রতিবেশী অনেকের। যদিও বড়ঞা থানার ভড়ঞা গ্রামে কৌশিক ঘোষ গ্রেফতারের পর গ্রামে থমথমে পরিবেশ রয়েছে ।
কৌশিক অধিকারী