Exclusive: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন সিবিআইয়ের অস্ত্র বিভিন্ন জেলার এজেন্ট

Last Updated:

CBI: এজেন্ট, সাব এজেন্ট থেকে কীভাবে টাকা যেত শীর্ষ নেতাদের কাছে?

কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চন্দন মণ্ডলের মতো এজেন্টরাই এখন সিবিআইয়ের কাছে সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ হাতিয়ার! নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিল মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। বিভিন্ন জেলা থেকে চাকরি  প্রাথীর টাকা চন্দন মন্ডলের কাছে পৌঁছাত।
শুক্রবার চন্দনকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। চন্দনকে জেরায় জানা গিয়েছে, চন্দনের ব্যাংক একাউন্টে যে টাকা আসত, সেই টাকা সাব এজেন্ট মারফত পৌঁছত মিডল ম্যান প্রসন্নর কাছে।
আরও পড়ুন- কমছে না DA ক্ষোভ! অচলাবস্থা তৈরির আশঙ্কা রাজ্যের এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে
এবার সেই সাব এজেন্টদের উপর নজর সিবিআইয়ের। এবার সাব এজেন্টদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। পাশাপাশি প্রসন্ন রায়ের বয়ান রেকর্ড করে সেই অনুসারে চন্দনকেও জেরা করবে সিবিআই।
advertisement
advertisement
প্রসন্ন রায়ের এজেন্ট ছিল ধৃত চন্দন মন্ডল। এই প্রসন্ন রায়েরই আরও এজেন্ট ছিল। এজেন্ট চন্দন মন্ডল, সুব্রত সামন্ত রায়, কৌশিক ঘোষ, শহিদ ইমাম, সেখ আলি ইমাম, আব্দুল খালেক। এই  পাঁচ এজেন্টরাও চন্দনের মতো প্রসন্নকে টাকা পাঠাতো, দাবি সিবিআইয়ের। এই পাঁচ এজেন্টকেও সিবিআই শুক্রবার গ্রেপ্তার করে।
কীভাবে চাকরি প্রাথীদের টাকা পৌঁছত শীর্ষ নেতাদের কাছে? সিবিআই সূত্রে খবর, মানি ট্রেল অনুযায়ী, চাকরি প্রাথীর টাকা যেত বিভিন্ন জেলার সাব এজেন্টদের কাছে। এর পর সেই টাকা পৌঁছাত জেলার এজেন্টদের কাছে (চন্দন মন্ডল )।
advertisement
এজেন্ট মারফত টাকা পৌঁছে যেত মিডল ম্যান ( প্রসন্ন রায় ) দের কাছে। সেখান থেকে টাকা যেত মাঝারি নেতা বা পর্ষদ কর্মী বা শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকের কাছে। শেষে পৌঁছাত বড় মাথার মন্ত্রী বা শীর্ষ স্থানীয় মূল নেতাদের কাছে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত এজেন্ট, মিডলম্যান, সাব এজেন্টদের জেরা করে মানিট্রেলের মাধ্যমে নেতাদের কাছে টাকা পৌঁছত। বিভিন্ন স্তরে  ধাপে ধাপে টাকা পৌঁছত শীর্ষ নেতাদের কাছে। সিবিআইয়ের দাবি, চন্দন ও তাঁর আত্মীয়দের ২২ টি ব্যাংক একাউন্ট খোঁজ পেয়েছে সিবিআই।
advertisement
আরও পড়ুন- কয়লা পাচারের কালো টাকায় টলিউডে ছবি? ইডির হাতে মারাত্মক তথ্য! দিল্লিতে ২ ব্যবসায়ী
চন্দন যেসব চাকরি প্রাথীর থেকে টাকা নিত, সেই সব চাকরি প্রাথীদের ব্যাংক একাউন্ট থেকে কখনো কখনো ডাইরেক্ট টাকা যেত প্রসন্ন রায়ের কাছে। চন্দন ছাড়াও প্রসন্নর এজেন্ট ছিল বাকি ধৃত পাঁচ এজেন্ট
সিবিআই এর হাতে আগে গ্রেপ্তার হয়েছিল মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। প্রসন্নর সাড়ে তিনশোটি জায়গায় জমি, সম্পত্তি নথি সংগ্রহ করেছে সিবিআই। তাহলে কি বিভিন্ন জেলা চাকরি প্রার্থীদের টাকাতেই এই বিপুল সম্পত্তি করেছিল প্রসন্ন! সিবিআই খতিয়ে দেখছে।
advertisement
ক্লাস নাইন টেন, একাদশ - দ্বাদশ, গ্রুপ ডি,   গ্রুপ সি, এসিস্টেন্ট টিচার পদে বেআইনি ভাবে নিয়োগের জন্য চন্দন মন্ডল সহ মোট ছজনকে সিবিআই গ্রেপ্তার করে। চন্দন মন্ডলকে দফায় দফায় জেরা করে আরও এজেন্ট ও সাব এজেন্টকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে সিবিআই।
ARPITA HAZRA
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Exclusive: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন সিবিআইয়ের অস্ত্র বিভিন্ন জেলার এজেন্ট
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement