আরও পড়ুন TET 2022: প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে রাজ্যের ৬টি জেলায় বন্ধ থাকছে ইন্টারনেট পরিষেবা
কোভিড মহামারী পরিস্থিতির পরে তিন বছর পরে এই বছর এই পুজোর আয়োজন করা হয়। শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে যা শেষ হবে সোমবার ।শনিবার ছিল বাৎসরিক পুজো ও বিশেষ অনুষ্ঠান। খড়গ্রাম সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা উপস্থিত হয়েছিলেন।
advertisement
ভবা পাগলা এক মাতৃ সাধক।শুধু কালনা নয়, ভবার শিষ্য ছড়িয়ে রয়েছে রাজ্যে সহ গোটা দেশ জুড়ে। অবিভক্ত বাংলার ঢাকা জেলার আমতা গ্রামে জন্ম ভবা পাগলার। বাংলার ১৩০৯ সালের ৩১ আশ্বিন গজেন্দ্রমোহন চৌধুরী ও গয়াসুন্দরীদেবীর ঘরে জন্ম ভবার। একসঙ্গে দুই সন্তানের জন্ম দেন গয়াসুন্দরীদেবী। একজনের নাম রাখা হয় দেবেন্দ্রমোহন, অপরজন ভবেন্দ্রমোহন। আদর করে সবাই ডাকতেন দেবা ও ভবা। সেখান থেকেই পরবর্তী সময়ে ভবা হয়ে ওঠেন ভবাপাগলা। বাংলার মাটিতে যুগে যুগে জন্ম নিয়েছেন বহু মাতৃসাধক। যাঁদের লীলা আজও মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বিশেষভাবে সঙ্গীতানুরাগী বা সঙ্গীতজ্ঞও ছিলেন।
আরও পড়ুন Malda News: এবার এক ফোনেই মিলবে মানসিক রোগের চিকিৎসা! রইল হেল্পলাইন নম্বর
যাঁদের বাঁধা গান আজও একইরকম জনপ্রিয়। তেমনই একজন মাতৃসাধক ভবা পাগলা।কালনায় সাধক ভবা পাগলার প্রতিষ্ঠিত ভবানী মন্দিরে বিশেষ উৎসব চলে মূলত বৈশাখ মাসে। দু’দিন ব্যাপী চলা এই উৎসবে মেলাও বসে। তাই এটি ভবা পাগলার মেলা হিসাবে পরিচিত। কালনার পাশাপাশি খড়গ্রামের বাতুর গ্রামে অগ্রহায়ণ মাসের শেষ শনিবার বাৎসরিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গ্রামের সকল ভক্তরা উপস্থিত হন। চলে বিশাল মেলা, যা দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষজন।
কৌশিক অধিকারী