জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে এবার থেকে গঙ্গার ধারে বসে সন্ধ্যাটা বেশ ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে ও জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ ব্রাহ্মণ কল্যাণ সমিতির সহযোগিতায় শুরু হওয়া এই গঙ্গা আরতি দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পৌরসভা দখল করেছে তৃণমূল। শুধু রাস্তাঘাটে আলো লাগিয়ে নাগরিক পরিষেবা বা সৌন্দর্যায়নই নয়, গঙ্গা আরতি করে আবেগ তৈরি করা হয়েছে মানুষের মনে। একসাথে বসে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ যাতে এই সন্ধ্যা আরতি দেখতে পান তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদ জেলাতে বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেও এই গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান। যদিও পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্যন্ত সেইভাবে গঙ্গা আরতি নিয়মিত কোথাও হয়না, তাই মানুষের আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে এই আরতির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
advertisement
পাশাপাশি গঙ্গা আরতি হলে এলাকার আর্থিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটবে এবং ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মুর্শিদাবাদ জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি দেখার পর অনেক পর্যটকদের মনে হত সন্ধ্যার পর কি করবেন। সেই ভাবনাও এই উদ্যোগের পেছনে গুরুত্ব পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন থেকেই জিয়াগঞ্জ সদর ঘাটে গঙ্গা আরতি দেখে মন ভরাবেন বলে আশা পর্যটক ব্যবসার সাথে যুক্ত সকলের। অন্যদিকে, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে সদর ঘাটের সৌন্দর্যায়ন করে ঘাট সাজানো হয়েছে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে।
Koushik Adhikary