অধীরের আস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কংগ্রেসকে বাইবাই করে তৃণমূলের যোগদান করেন বায়রন৷ এর পর সোমবার দুপুরে বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাল্টা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ী হও, তাতে আপত্তি নেই৷ , কিন্তু তৃণমূলের সন্ত্রাস, ধমকি, প্রলোভন মানুষের রায়কে পরাজিত করতে পারে। মানুষের রায় ছিল, বায়রন বিশ্বাসের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায় হোক। কিন্তু, দিদি এবং খোকাবাবুর রায় ছিল মানুষের ইচ্ছা অনিচ্ছাকে পদাঘাত করে আমরা এগিয়ে যাব। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে তাদের মন্তব্য থেকে এটা পরিষ্কার হয়েছিল এই নির্বাচনের পরাজয় তৃণমূল মেনে নিতে পারেনি।
advertisement
অধীর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘বায়রন বিশ্বাস এই মুর্শিদাবাদ জেলার একজন শিল্পপতি। প্রণব মুখোপাধ্যায় যখন নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর পিতা তখন সহযোগিতা করেছিলেন। সাগরদিঘি নির্বাচন যখন ঘোষণা হল, তখন তিন থেকে চার দিন যোগাযোগ করে আমার কাছে বারবার টিকিটের দাবি করতে থাকে বায়রন বিশ্বাস৷ আমরা জানতাম ছেলেটি অরাজনৈতিক পরিবারের, কিন্তু তাঁর সম্পর্কে আমার ধারণা ভাল ছিল। তাঁর সম্পর্কে আমার খারাপ ধারণা সেদিনও ছিল না, আজও নেই। সেখানকার মানুষ দু হাত দিয়ে তাঁকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন।’
বায়রনের দলবদলের জন্য সরাসরি তৃণমূলনেত্রীকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী৷ রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘দিদি দল ভাঙানোর খেলায় সিদ্ধ হস্ত সেটা সবাই জানেন। এর ফলে মানুষের সামনে তৃণমূলের চেহারা আরও নগ্ন হল। মানুষের রায়কে মেনে নেওয়ার ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেই। তিনি মানুষের রায়কে পদদলিত করলেন। আমরা দিদি আপনার চ্যালেঞ্জ মেনে নিলাম। আগামী দিনে মোলাকাত হবে রাজনীতির ময়দানে, নির্বাচনের ময়দানে। আমাদের জেদ আরও বাড়ল। কংগ্রেস কর্মীদের বলছি, আপনারা এতটুকু দুঃখ পাবেন না। এক মাঘে শীত যায় না। দিদি যে খেলা শুরু করেছেন, সেই খেলাই ওনাকে ধ্বংস করবে৷’
কৌশিক অধিকারী