এই প্রাঙ্গণের মধ্যে উত্তরে পাঁচটি শিবমন্দির যার দুটি আটচালা ও বাকিগুলি চারচালা এবং দক্ষিণে আটটি শিবমন্দির যার দুটি আটচালা ও বাকিগুলি চারচালা স্থাপত্য রীতির। মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে একটু উত্তরে গেলেই বাঘডাঙ্গা রাজের বিশাল ঠাকুরবাড়িতেও অনেকগুলি মন্দির রয়েছে। ঠাকুরবাড়ির মূল প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করে প্রাচীর ঘেরা প্রশস্ত অঙ্গন।
আরও পড়ুনঃ তরুণী ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় ৫৪জন স্বাক্ষীর নাম সহ ৭৫দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ
advertisement
একটি বড় দালান মন্দিরে দেবী সিংহবাহিনী নিত্য পূজিতা হচ্ছেন। মূল বেদীর ওপর দেবী মহিষমর্দিনী রয়েছেন। দুর্গাপূজায় বড় উত্সব হয়। এর পশ্চিমদিকে রয়েছে লক্ষ্মী জনার্দনের মন্দির। আঠারো শতকে সূর্যমানের পুত্রবধূ পার্বতীদেবী এগুলি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একসময় এখানে অনেক মন্দির ছিল ও কাঁসর-ঘণ্টাধ্বনিতে মুখরিত থাকত। আজ প্রায় সব ধ্বংসপ্রাপ্ত।
আরও পড়ুনঃ সংস্কারের অভাবে বেহাল আহিরণের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নিত্য যাতায়াত চলছেই
রাজবাড়িতে ছিল রাধাকৃষ্ণ মন্দির, কাছেই ছিল একবাংলা সূর্যেশ্বর মন্দির, কত ছোটবড় মন্দির। এখন সবই প্রায় ধ্বংস ও জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এখানে নরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়দের পূজিত প্রায় ৩০০ বছরের কষ্টিপাথরের কালীমূর্তি মূল মন্দির নষ্ট হওয়ার কারণে একটি দালান মন্দিরে পূজিত হচ্ছে। কাছেই বিরাট দীঘি রয়েছে নাম সদর পুকুর, বর্তমানে বাঁধানো ঘাট, বসার জায়গা করে দীঘির সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে।
মন্দিরের গুগল লোকেশনঃ
KOUSHIK ADHIKARY