বাবা আল্লারাখা সেখের চার ছেলে। মেজো ছেলে আসফার সেখ। মুম্বই হামলার ২১দিন আগে মুম্বাই গিয়েছিলেন পরিবারের মুখে হাঁসি ফুটাতে, বোনের বিয়ের জন্য ও পরিবারের স্বচ্ছলতা আনতে। কিন্তু ২১দিনের মাথায় ২৬/১১ রাত নটা নাগাদ মুম্বাইতে ভিটি ষ্টেশনে খাবার খেতে গিয়েছিলেন। তখনই আততায়ীরা গুলিতে ঝাঁজরা করে দেন আসফার সেখকে। পরিবারের খবর আসতেই শোকে ভেঙে পড়ে। ইতি মধ্যেই আজমল কাসভের এই ঘটনায় ফাঁসি হয়েছে। তবে যারা এখনও জড়িত এই ঘটনার সঙ্গে তাদের ও শাস্তি চাইছেন পরিবার। বর্তমানে বাবা আল্লারাখা সেখ বাড়ির বাগান ও জমি পরিচর্যা করেন। মা আনারকলি বিবি এখনও ১৪বছর আগের স্মৃতি আঁকরে বসে আছেন। দেখতে দেখতে চোদ্দ বছর অতিক্রান্ত। তবে তার মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে ৫ লক্ষ টাকা, মহারাষ্ট্র সরকার থেকে ৫লক্ষ টাকা ও বালাজি গ্রুপ থেকে ১০লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন তৎকালীন সময়ে। তবে এখনও অশ্রু ভেজা কান্না চোখে এখনও স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন: 'রাজনীতিতে হিংসা নয়! আমার টিআরপি বিশ্ব জুড়ে!' গর্বের বার্তা মিঠুন চক্রবর্তীর!
আর আসফার সেখ ফিরবেন না বাড়ি, তাও জানে তারা। দোষীরা কঠোর শাস্তি পাক চাইছেন পরিবার।উল্লেখ্য, ২৬/১১- হামলার সেই ভয়াবহ ক্ষত আজও শোকায়নি। এই ঘটনায় ১৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। তাজ হোটেল, ছত্রপতি শিবাজী বাস টার্মিনাস, ট্রাইডেন্ট হোটেল, লিওপোল্ড কাফে, নরিম্যান হাউসে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। আজমল কাসভকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। পাকিস্তান থেকে নৌকায় করে আরব সাগর পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা। এরপরেই মুম্বইয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। সেই দুঃস্বপ্নের দিনের ভয়াল স্মৃতিতে আজও কেঁপে ওঠেন সাধারণ মানুষ।
কৌশিক অধিকারী