কিভাবে এই স্থানের নাম কান্দি হয়েছিল তা বিশেষ জানা যায় না। যদিও অনেকে বলে থাকেন, কান্দি শব্দটি সংস্কৃত শব্দ 'কন্দর' থেকে জাত। যার অর্থ বড় খাল বা নালা।কন্দর থেকে এই অঞ্চল কান্দি নামে পরিচিত। কাঁধাড় বা কাঁধা শব্দটি আজও বাংলার কৃষক সমাজে প্রচলিত আছে। এর অর্থ কোনো বড়ো খাল বা নদী সংলগ্ন জমি যা অনেকটা মানুষের কাঁধের মত ঢালু।
advertisement
কান্দির সিংহবংশীয় রাজারা প্রায় হাজার বছরের প্রসিদ্ধ রাজবংশ। এই বংশের সবথেকে বিখ্যাত ও জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন লালাবাবু। লালাবাবুর পিতৃদত্ত নাম ছিল কৃষ্ণচন্দ্র সিংহ। এই কৃষ্ণচন্দ্র ছোটবেলা থেকেই খুব ভক্তিবান ছিলেন। কূলদেবতা রাধাবল্লভের মন্দিরে (Kandi Radha ballav temple) তিনি প্রতিদিন ধ্যানজপ করতেন। বলাবাহুল্য এই রাধাবল্লভ মন্দিরের রথই বর্তমানে কান্দির সবথেকে ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা ৷
ঠিকানাঃ কান্দি রাধাবল্লভ জিউর মন্দিরকান্দি ঘড়িখানা রোড। কান্দি। মুর্শিদাবাদ
প্রায় দুশো বছর আগে শ্রীক্ষেত্র পুরী (PURI) থেকে ঘুরে এসে রথযাত্রার উৎসবের সূচনা করেন তৎকালীন জমিদার। কান্দি শহরের প্রাচীন মন্দিরের মধ্যে অন্যতম রাধাবল্লভ জিউর মন্দির (Kandi Radhaballav temple) । এই মন্দির থেকে প্রতি বছর রথযাত্রা উৎসবের আয়োজন করা হয়। কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে দীর্ঘ দুই বছর পরে এবছর রথযাত্রা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ইতি মধ্যেই রথযাত্রা উপলক্ষে বসতে শুরু করেছে মেলা।
আরও পড়ুন - স্বামী ফের বিয়ে করেছে! পাঁচ বছরের সন্তান কোলে ধর্নায় প্রথম স্ত্রী!
মুর্শিদাবাদ জেলার (Murshidabad district) অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই রথ পরিক্রমা করে কান্দি শহর। লালাবাবুর প্রতিষ্ঠিত তিন রঙে রঙিন রথে অধিষ্ঠিত রয়েছেন প্রচলিত রীতি অনুসারে জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রা। প্রাচীন এই রথযাত্রা দেখতে ভিড় করেন দূর দূরান্ত থেকে আসা বহু মানুষ। যার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে ।
শুক্রবার বিকাল ৪:৩০ মিনিটে রথ (Rath yatra) বের হবে। গোটা কান্দি শহর পরিক্রমা করে আবার মন্দিরে ফিরে আসবে। আগে পাশেই মাসির বাড়ি থাকলেও, বর্তমানে সেই বাড়ি ভগ্নদশায় পরিনত হয়েছে। ফলে আবার মন্দিরে ফিরে আসে প্রভু জগন্নাথ। রাখা হয় অন্যঘরে। চলে আট দিন ধরে নিত্য পূজো ও ভোগ নিবেদন।
কৌশিক অধিকারী