ঘটনার জানাজানি হতেই শুক্রবার সকাল থেকে কাজী নজরুল ইসলাম হোমের বাইরে ভিড় জমাতে থাকেন অভিভাবকরা। এই ঘটনার জেরে শুক্রবার সকালে লিখিতভাবে নিখোঁজের অভিযোগ করা হয় বহরমপুর থানায়। এখনও পর্যন্ত ওই ১১ জন ছাত্রের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। কী কারণে তারা হোমে ফেরেনি, সেই নিয়ে চিন্তিত সকলে। তবে সাত সকালে বহরমপুর শহরে এই ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়।
advertisement
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর বজ্রাঘাতে মর্মান্তিক মৃত্যু! একই সময়ে দুই মাঠে প্রাণ হারালেন দুই কৃষক
আরও পড়ুন: চিকিৎসা না করে আহত অসুস্থ হাতিকে জঙ্গলে ছাড়তে গিয়ে বাধার মুখে বন দফতর
যদিও বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, বৃহস্পতিবার প্রথম ক্লাসের পর থেকেই অনেক ছাত্রকে আর দেখা যায়নি। তাঁরা বলেন, ''আমাদের ক্লাসের অন্যান্য ছাত্ররা বিষয়টি জানায়। আমরা ক্লাস রুমে গিয়ে দেখতে পাই অনেক ছাত্র অনুপস্থিত। সম্ভবত তারা পাঁচিল টপকে চলে গিয়েছে। আমরা হোম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তৎক্ষণাৎ জানাই। হোম কর্তৃপক্ষ এসে বাকি ছাত্রদের নিয়ে চলে যায়।''
বহরমপুর জল ট্যাঙ্ক মোড়ে অবস্থিত এই নজরুল ইসলাম হোম। রাজ্য সরকারের জুডিসিয়াল বিভাগের অধীনে পরিচালনা হয়। বহু ছাত্র এখানেই থাকে। পঠন পাঠনের জন্যই একশো মিটার দুরে অবস্থিত বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুলে পাঠানো হয়। তবে একসঙ্গে সরকারি হোম থেকেই এত ছাত্র নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও এখনও পর্যন্ত মুখ খুলতে চাননি হোম কর্তৃপক্ষ।
কৌশিক অধিকারী