TRENDING:

Malda News: মিজোরামের ঘটনায় 'মৃত্যু আতঙ্ক'! অনিচ্ছা সত্ত্বেও পেটের দায়ে ভিনরাজ্যেই কাজের খোঁজ

Last Updated:

বর্তমানে গ্রামে যে সব পুরুষ রয়েছে তাঁদের চোখে মুখে আতঙ্ক। কারণ কেউ এক সপ্তাহের মধ্যে, কেউ এক মাস পর পাড়ি দেবেন ভিনরাজ্যে। শুধুমাত্র মিজোরামে নয়, এই গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিকেরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, ব্রিজ, টাওয়ার, আবাসন নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মালদহ– গ্রামের পাঁচশো মিটার দূরত্বের মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু। গ্রামজুড়ে যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। একে অপরকে সান্ত্বনা দেওয়ার মত কেউ নেই‌। দূর দূরান্তের আত্মীয় পরিজনেরাই ভরসা। বর্তমানে গ্রামে যে সব পুরুষ রয়েছে তাঁদের চোখে মুখে আতঙ্ক। কারণ কেউ এক সপ্তাহের মধ্যে, কেউ এক মাস পর পাড়ি দেবেন ভিনরাজ্যে। শুধুমাত্র মিজোরামে নয়, এই গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিকেরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, ব্রিজ, টাওয়ার, আবাসন নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত। এমন ঘটনা আগে কখন‌ও হয়নি। তাই আতঙ্ক তাড়া করছে সকলের মধ্যে।
advertisement

দেখুন ISRO Mission to Sun: চাঁদের পর এবার সূর্যে পাড়ি ভারতের, তৈরি হচ্ছে Aditya-L1

কিন্তু আতঙ্ক সঙ্গে নিয়েই ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতে চান শ্রমিকেরা। কারণ কাজ না করলে সংসার চলবে না। গ্রামে কাজ নেই। তাই জীবন বাজি রেখেই কাজে যেতেই হবে ভিনরাজ্যে, স্বীকার করছেন বর্তমানে বাড়িতে থাকা শ্রমিকেরা। পরিযায়ী শ্রমিক জহর আহমেদ বলেন, আমিও ভিন রাজ্যের শ্রমিকের কাজ করি। এত বড় দুর্ঘটনা এর আগে দেখিনি। এমন ঘটনায় আমি আতঙ্কিত। তবে আতঙ্কিত হলেও আমাকে কাজে যেতে হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমি ভিন রাজ্যে পাড়ি দেব কাজের জন্য। কাজ না করলে সংসার চলবে না।

advertisement

আরও পড়ুন East Burdwan News: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি র‍্যাগিং প্রোগ্রাম, তৈরি হবে ডিসিপ্লিন কমিটি 

রতুয়ার চৌদুরার গ্রামের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক। প্রতিটি পরিবার নির্ভরশীল পরিযায়ী শ্রমিকের রোজগারের ওপর। কেউ ৪০ বছর আবার কেউ ২০ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করে আসছেন। নিন্মবিত্ত শ্রেণীর পরিবার গুলির বর্তমান প্রজন্ম বাধ্য হয়ে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজে নিযুক্ত হচ্ছেন। কারণ লোকালয়ে নেই কোনও কাজ। এতদিন এই গ্রামের বাসিন্দারা এত বড় ভয়াবহতা দেখেনি। দুর্ঘটনায় মাঝেমধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এক থেকে দুই জন। কিন্তু একেবারে এত সংখ্যক মৃত্যু কখনও দেখেনি এই গ্রামের পরিযায়ীরা। এমন দূর্ঘটনায় আতঙ্কিত সকলে। আবার আতঙ্ক নিয়েই কাজে পাড়ি দিতে চান।

advertisement

এই গ্রামের অনেকেই বর্তমানে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, মুম্বাই সহ দেশের একাধিক শহরে রাজ্যে নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাদের পরিবারগুলি এমন ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। গ্রামের বাসিন্দা শেখ কাইসুল বলেন, গ্রামে নেই কোনও কাজ। সরকারি একশ দিনের প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় গ্রামের শ্রমিকেরা কোথায় যাবেন। বাধ্য হয়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার গ্রামের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান করে দিক তাহলে আর বাইরে যেতে হবে না কাউকে।

advertisement

দুর্ঘটনার পর থেকেই গ্রামে আত্মীয় পরিজন থেকে শুরু করে আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। মহিলাদের মধ্যে প্রায় অধিকাংশের স্বামী বা ছেলে ভিন্ন রাজ্যে রয়েছে শ্রমিকের কাজে। পরিবার গুলির আর্থিক অনটন নিত্যদিনের সঙ্গী। লোকালয়ে নেই কোনও কাজ এমনকি সরকারি প্রকল্পের কাজও বন্ধ। তাই ইচ্ছে না থাকলেও অনেকটা বাধ্য হয়ে ভিন রাজ্যের পাড়ি দিতেই হবে এই গ্রামের পরিযায়ীদের।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
প্রয়োজন পড়বে না পুকুর বা জলাশয়ের দুরন্ত পদ্ধতিতেই মাছের ব্যবসা করলেই আয় হবে লক্ষাধিক
আরও দেখুন

হরষিত সিংহ

বাংলা খবর/ খবর/মালদহ/
Malda News: মিজোরামের ঘটনায় 'মৃত্যু আতঙ্ক'! অনিচ্ছা সত্ত্বেও পেটের দায়ে ভিনরাজ্যেই কাজের খোঁজ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল