নর্দমায় খোঁজ করে না মেলায় স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিশকে। পুলিশ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা যৌথ ভাবে গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজ চালায়। তারপরেও মেলেনি। সোমবার সকাল থেকে নর্দমা ও পাশের একটি জলাশয়ে খোঁজ শুরু হয়েছে। জলাশয়ের আগাছা পরিষ্কার করে চলছে উদ্ধারের কাজ। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে নিখোঁজ শিশুকন্যার নাম সিদ্দিকা খাতুন (৬)। স্থানীয় শ্যামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে পড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: জেলে ভোর ভোর 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' শুনে অন্য খাবারের আবদার অনুব্রত মণ্ডলের!
রবিবার দুপুরে বাড়ির সামনে কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজে খেলছিল সিদ্দিকা। খেলতে খেলতেই হঠাৎ রাস্তার পাশের একটি বড় নর্দমায় পড়ে যায়। তার পর থেকে সিদ্দিকার আর কোনও খোঁজ মেলেনি। এক প্রতিবেশি জানান, বাকি বাচ্চারা সিদ্দিকার হাত ধরে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নর্দমায় তলিয়ে যায়। এই ঘটনার সময় খুদেদের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়েরা ছুটে এসে নর্দমায় নেমে সিদ্দিকাকে খোঁজা শুরু করে। খবর পেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি চালানো শুরু পুলিশও। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। শেষমেশ খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। তারাও এসে খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করে। জেসিবি দিয়ে নর্দমাটি ভেঙে দেওয়া হয়। তার পরেও রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত সিদ্দিকার খোঁজ মেলেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,গত সপ্তাহে নর্দমার একটি ঢাকনা খোলা হয় সংস্কারের জন্য। তারপর আর ঢাকনা বন্ধ করা হয়নি। সেই ফাঁক দিয়ে গলে গিয়েছে সিদ্দিকা। স্থানীয়দের দাবি, নর্দমার জল গিয়ে পড়ে পাশের বড় জলাশয়ে। যা কচুরিপানায় ভরা। সম্ভবত নর্দমার জলের তোড়ে জলাশয়ে গিয়ে পড়েছে সিদ্দিকা। সেই মতো ওই জলাশয়ে নেমেও তল্লাশি চালান বিপর্যয় মোকাবিলা দলের লোকেরা। তাতেও কোনও লাভ হয়নি।চৌকি মির্জাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাজিদ মমিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। তড়িঘড়ি উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। মানিকচক থানার পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা তল্লাশি চালায়। কিন্তু শিশুটির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
হরষিত সিংহ