তার গতিবিধি সন্দেহজনক থাকায় তদন্তকারী কর্তারা প্রেমজিতকে জেরা করে। জেরায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃদ্ধ গুণমনি শীল খুনের সময় বাড়িতেই ছিল প্রেমজিত শীল। দাদুর সাথে বচসাও হয় তাঁর। এরপর রাগের মাথায় বাড়িতে রাখা ধারালো অস্ত্র হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে দেয় দাদুকে। ইংরেজবাজার শহরের একটি নামী স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সে।এমন ঘটনা ঘটার পর প্রেমজিৎ সমস্ত ঘটনা তাঁর বাবা পার্থসারথি শীলকে জানায়। বাবার পরামর্শে বাড়ির জিনিস লন্ডভন্ড করে সে। উদ্দেশ্য ছিল যেন বাইরের লোক বুঝতে পারে যে লুটপাট করে দাদুকে খুন করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর মধ্যেই ৩০৭৬২ জনকে চাকরি! বাংলার কর্মহীনদের জন্য বড় আপডেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী!
তদন্তকারী পুলিশকর্তারা জানান মৃত ব্যাক্তির ছেলের বয়ানে প্রথমে অসঙ্গতি ধড়া পড়ে। বাড়ির সদর দরজা বন্ধ ছিল বলে জানায় সে। তবে আততায়ীরা বাড়িতে প্রবেশ করল কি করে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করেন। তখন মৃতের ছেলে পার্থকে জিজ্ঞাসা করা হয়। অসঙ্গতি ধড়া পড়ায় গ্রেফতার করা হয় বৃদ্ধের ছেলে পার্থ সারথি শীল ও নাতি প্রেমজিৎ শীলকে। ধৃত প্রেমজিৎ শীলকে মালদহ থানার পুলিশ আদর্শ পল্লীর বাড়িতে নিয়ে যায় এবং কিভাবে খুন করেছিল পুলিশকে জানায়। পাশাপাশি রক্ত লাগা জামা কাপড় এবং বাড়ির তালাগুলো বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটিনর্দমায়ফেলেছিল এবং সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত রক্তমাখা জামাগুলি উদ্ধার হয়নি।
হরষিত সিংহ






