TRENDING:

Superfood: ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্তিভাব? সারাদিন তরতাজা থাকতে এই ৭ খাবারই যথেষ্ট!

Last Updated:

Superfood: জেনে নেওয়া যাক ঠিক কোন কোন খাবার খেলে আমরা সারা দিন এনার্জিতে ভরপুর থাকতে পারি!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ইংরেজি প্রবাদে বলে 'আমরা হলাম তাই, যা আমরা খাই'। অর্থাৎ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সারাদিনের খাবারের প্রভাব রয়েছে। উপরন্তু অতিমারীর পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যের বিষয়ে অবশ্যই আমাদের সবচেয়ে বেশি সচেতন হওয়ার দরকার রয়েছে। তাই রোজকার খাদ্যাভ্যাসে নজর দেওয়া জরুরি। জেনে নেওয়া যাক ঠিক কোন কোন খাবার খেলে আমরা সারা দিন এনার্জিতে ভরপুর থাকতে পারি!
সাত খাবারেই কেল্লাফতে
সাত খাবারেই কেল্লাফতে
advertisement

১. আমন্ড

আমন্ডে ভিটামিন B এবং ম্যাগনেসিয়ামের বহুবিধ পুষ্টি রয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে শরীরের ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি থাকলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে যাই। তাই রোজকার ডায়েটে অন্তত একবার আমন্ড রাখতেই হবে। সকালে খালি পেটে খাওয়া যায়৷ সেক্ষেত্রে আমন্ড সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে অথবা ডেসার্ট, স্মুদি অথবা অন্যান্য খাবারেও যোগ করা যায়৷ আবার সারা দিনে খিদে পেলে স্ন্যাক্স হিসাবে আমন্ড খাওয়া যায়। এতে শরীরে ফাইবারের ঘাটতি মিটবে যা আমাদের হজমের জন্য উপকারী।

advertisement

২. পিনাট বাটার

পিনাট বাটার খুবই সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার যা অনেকেই জলখাবারে খেতে পছন্দ করেন। পিনাট বাটারে বেশি ক্যালোরি থাকায় এটি আমাদের সারাদিন সচল থাকতে এনার্জি দেয়। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট,প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় পিনাট বাটার আমাদের খিদে মেটাতে সাহায্য করে এবং রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভালো স্বাদ এবং ডায়েটে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য পিনাট বাটার স্মুদিতে ব্যবহার করা যায়। একই সঙ্গে পুষ্টিহীন জ্যাম এবং প্রসেসড স্প্রেডের চেয়ে স্বাস্থ্যকর পিনাট বাটার টোস্টে স্প্রেড হিসাবে ব্যবহার করা যায়। আবার ডায়েটে স্ন্যাক্সস হিসাবে ১ টেবিল চামচ পিনাট বাটার খাওয়া যায়।

advertisement

আরও পড়ুন: সাবধান! স্ন্যাকস খাওয়ার সময়ে এই ভুলগুলো করলেই শরীরের ক্ষতি অনিবার্য

৩. কলা

স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে কলা খুবই পরিচিত খাবার যা ভিটামিন B6, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর। কলা পেশির কার্যকারিতা বাড়াতে এবং শরীরে এনার্জি দিতে সাহায্য করে। ওয়ার্ক আউটের আগে এবং পরেও কলা খুবই ভালো খাবার কারণ কলা ওয়ার্কআউটের পরে পেশি গঠনে সাহায্য করে। অন্যান্য ফলের সঙ্গে কিংবা দুধ, ওটস এবং দারচিনি গুঁড়োর স্মুদিতে কলা দিয়ে খাওয়া যায়। আবার লো ফ্যাট দুধ অথবা দইয়ের সঙ্গে কলা দিয়ে মিড মর্নিং মিল হিসাবে খাওয়া যায় যা থেকে শরীরে প্রোটিন ও ফাইবার পৌঁছাবে ।

advertisement

৪. বাঁধাকপি

বাঁধাকপি এনার্জি বুস্টার হিসাবে পুষ্টিতে ভরপুর যা আমরা লেটুসের পরিবর্তে স্যালাডে ব্যবহার করতে পারি। এছাড়া বাঁধাকপি আমাদের খাবারের সঙ্গে সাইড ডিশ হিসাবে কিংবা হোল হুইট পাস্তার সঙ্গে ব্যবহার করা যায়৷ বাঁধাকপির এনার্জি বাড়ানোর প্রধান কারণ হল এটিতে অ্যামিনো অ্যাসিড এল-টাইরোসিন রয়েছে যা আমাদের মনের সতেজ থাকার ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি এটি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ যা সারাদিন পেট ভর্তি রাখে। আবার ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে সামগ্রিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

advertisement

আরও পড়ুন: এই নিয়মগুলিতে দুর্বল সম্পর্ক মজবুত হয়, ভাঙা সম্পর্কও জোড়া লাগে

৫. ওটমিল

ফিটনেস-প্রেমীদের ওটস বা ওটমিল খুবই পছন্দের খাবার৷ কারণ ওটমিলের অনেক স্বাস্থ্যজনিত উপকারিতা রয়েছে। যেমন ওটমিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি একটি খুব ভালো এনার্জি বুস্টার। ফাইবার হজম করতে বেশি সময় লাগে এবং জলখাবারে এটি খেলে সারাদিন কাজের এনার্জি পাওয়া যায়।।

৬. পেস্তা

পেস্তায় রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন এবং হার্টের জন্য ভালো মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। ফলে এনার্জিতে ভরপুর স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসাবে পেস্তা খুব ভালো খাবার। স্মুদিতে মিশিয়ে কিংবা অন্যান্য বাদাম ও সিডের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসাবে খাওয়া যায় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৭. হামাস

হামাস এমন একটি ডিপ যা বিশেষ করে কাবুলি ছোলা এবং অলিভ অয়েল এবং লেবুর রসের মতো অন্যান্য কিছু সাধারণ উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি পুষ্টিসমৃদ্ধ হওয়ায় সারাদিনের এনার্জি দেয়। ছোলায় প্রোটিন এবং কিছু পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, ছোলার প্রোটিন উপাদান রক্তে শর্করাকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে এবং খিদে কমাতে পারে। হামাস সবজি স্টিক, ভুট্টার চিপস, কিনোয়া চিপস ইত্যাদি দিয়ে খাওয়া যায় যা শুধুকর স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্সই নয়, শরীরে প্রোটিনের জোগানও দেয়।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Superfood: ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্তিভাব? সারাদিন তরতাজা থাকতে এই ৭ খাবারই যথেষ্ট!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল