যেমন– সঠিক ডায়েট অর্থাৎ নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করা থেকে শুরু করে ধূমপানের পরিমাণ কমানো, শরীরকে এক্সারসাইজের মাধ্যমে সুস্থ রাখা এবং অ্যালকোহল সেবনের পরিমাণ কমানো। এই কয়েকটি জিনিস যদি মেনে চলা যায়, তা হলেই কিন্তু হার্টের রোগে মানুষকে আর কষ্ট পেতে হয় না।
আরও পড়ুন- আপনার টয়েলেট কি কমোড? জানেন কি সেটা কোষ্ঠকাঠিন্যে কারণ হতে পারে
advertisement
ইমিউনিটি বাড়াতে হবে:
ডাক্তারদের মতে, হার্ট ভালো রাখতে গেলে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কাজ করে যেতে হবে, শুধু বসে বসে আরাম করলে চলবে না। অস্বাস্থ্যকর নেশার পরিমাণ কমাতে হবে। তাতে শরীরের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়বে। এ ছাড়াও নিয়ম করে এক বার রুটিন চেক-আপ করানোটা ভীষণ জরুরি।
খাবারের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ:
বেশি তেলের রান্না খাওয়া একেবারে বন্ধ করতে দিতে হবে। পারলে ব্যাবহার করা উচিত ভার্জিন অয়েল, অলিভ অয়েল ইত্যাদি। এ ছাড়াও রোজ খাবারের মধ্যে রাখতে হবে সবজি, বাদাম জাতীয় খাবার, প্রোটিন ও ফাইবার। কমিয়ে দিতে হবে রেড মিট খাওয়ার পরিমাণ।
ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation)-র মতে, ৫০ শতাংশ ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়। এ ছাড়াও অতিরিক্ত ধূমপান বাড়াতে পারে দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, হার্ট ফেলিওরের সম্ভাবনা। এ ছাড়াও অতিরিক্ত মদ্যপানও হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো নয়। আসলে যে কোনও জিনিসই পরিমাপ বুঝে করতে হবে। তা হলেই অসুস্থতার ঝুঁকি কমানো যাবে।
আরও পড়ুন- নলেন গুড়ের লোভনীয় পদের সম্ভার সাজিয়ে তৈরি শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ
পর্যাপ্ত ঘুম:
ডাক্তাররা বলেন, দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুম দরকার। যত ভালো ঘুম হবে, তত মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বাড়বে।
লাফটার ক্লাবে নাম লেখাতে হবে:
হার্ট ভালো রাখার জন্য সবার আগে মন ভালো রাখা জরুরি। পাড়ার লাফটার ক্লাবে নাম লিখিয়ে শরীর ও মন– উভয়কেই চাঙ্গা করে তুলতে হবে। হাসলে শরীরে যে এনডরফিন (endorphins) বেরোয়, তা শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। এটি শরীরের রক্তচাপও কমায়।
রুটিন চেক-আপ:
প্রতি মাসে এক বার করে ডাক্তারের কাছে গিয়ে রুটিন চেক-আপ করানো উচিত। বিভিন্ন টেস্ট করিয়ে এক বার দেখে নেওয়া উচিত হার্টের অবস্থা কেমন। যেমন– ব্লাড কাউন্ট, কোলেস্টেরল, কিডনি, লিভার, থাইরয়েড এবং ইসিজি ইত্যাদিও করাতে হবে। নিয়মিত এই সব মেনে চললে তবেই ভালো থাকবে শরীর ও হার্ট।
