কোচবিহারের অভিজ্ঞ চিকিৎসক অসীমবাবু জানাচ্ছেন, “ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ শীতকালীন ফল কুল। এটি স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি স্নায়ু এবং হাড়ের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” তিনি আরও জানান, “এই ফল যেমন রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। তেমনই এই ফল পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন এবং জিঙ্কে সমৃদ্ধ। এই খনিজগুলি হার্ট ভাল রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ লুকোচুরির দিন শেষ! আজই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন পরমব্রত, পাত্রী পরিচয় জানলে চমকে যাবেন
কুলে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়তা করে। রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সহায়ক এই কুল। কুলে থাকা খনিজগুলি শরীরের রক্ত প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল ত্বককে স্বাস্থ্যকর ও ব্রণ মুক্ত রাখে। পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে বেশ অনেকটাই। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি ব়্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করে এবং কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। স্ট্রেস কমাতেও জুড়ি মেলা ভার কুলের।
তিনি আরও জানান, “মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সহায়তা করে এই ফল। কুল হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। হাড়কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে কুলে থাকা ক্যালসিয়াম। ফসফরাস হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে। কুল আর্থ্রাইটিসের রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারি। কুলে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট জয়েন্টের ফোলাভাব এবং যন্ত্রণা কমাতে সহায়তা করে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কুলে থাকা ফাইবার।
সব মিলিয়ে শীতকালে এই ফল খাওয়া কম বেশি সকলের জন্য দারুণ উপকারী। দিনে খাওয়ার তালিকায় একবার অন্তত এই কুল রাখতেই পারেন। তবে অনেক ধরনের সমস্যা দূর হবে শরীর থেকে। ছোট থেকে বড় সকলেই খেতে পারবেন এই ফল। তবে কোনও রকমের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
Sarthak Pandit