বালিশের কভার
পুরনো সোয়েটার দিয়ে বালিশ বা কুশনের কভার করা যায়। সোয়েটার বড় হলে অনেকগুলো কুশনের কভার হয়ে যাবে।
কীভাবে করতে হবে
প্রথমে সোয়েটারটি কুশনের থেকে ডাবল সাইজে কেটে নিতে হবে।
এবার তিন দিক থেকে বিপরীত সেলাই করে কুশন ঢোকানোর জন্য একপাশ খোলা রেখে দিতে হবে।
ভেলক্রো বা জিপ লাগিয়ে লক করে দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: নতুন বছরে ব্যবসা শুরু করার ইচ্ছে? রইল কিছু জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসার সুলুকসন্ধান
কাপ ওয়ারমার
সোয়েটারের হাতা গোল গোল করে কেটে সেটা দিয়ে কাপ ওয়ারমার তৈরি করা যায়। এতে ভিতরের পানীয় যেমন গরম থাকবে তেমনই গরম কাপ ধরতে সুবিধে হবে। বাচ্চাদের দুধের গ্লাসের ক্ষেত্রেও এটা ব্যবহার করা যায়। এতে গরম দুধের গ্লাস ধরতে বাচ্চাদের অসুবিধে হবে না।
বুট টপার
পুরনো সোয়েটার দিয়ে বুট টপার করলে সেটা দেখতে স্টাইলিশ লাগবে এবং শীতকালে পা গরম রাখবে। অনেক সময় বুটের লেদার বা চামড়া শক্ত হওয়ার জন্য পায়ের চামড়া উঠে যায়। সোয়েটারের হাতা কেটে নিয়ে বুট টপার করে নেওয়া যায়। বেইজ বা কোনও সলিড কালারের সোয়েটার দিয়ে এটা করলে ভাল লাগবে।
আরও পড়ুন: রবিনা ট্যান্ডনের রূপটানের রহস্য এক বিশেষ পানীয়ে লুকিয়ে, জানুন ও পান করুন
চেয়ারের ওয়ারমার
শীতকালে চেয়ার খুব ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এতে বসতে অসুবিধে হয়। তাই পুরনো সোয়েটার কেটে উপরে বিছিয়ে দিলে সেটা অনেক বেশি আরামদায়ক হবে এবং পিঠ উষ্ণ থাকবে।
কারডিগান তৈরি
পুরনো পুলওভার থাকলে সেটা দিয়ে নতুন কারডিগান তৈরি করে বেওয়া যেতে পারে। তার জন্য লাগবে কাঁচি, প্রেস, বোতাম।
এমন সোয়েটার বেছে নিতে হবে যেটি খুব বেশি ভারী নয়। তা না হলে কাঁটার সঙ্গে সঙ্গে উলের সুতো বেরিয়ে আসতে শুরু করবে।
মাঝখান থেকে কেটে নিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যাতে দুই দিক সমান হয়।
এর পরে, সোয়েটারের স্টিচ লাইনটি বাঁকিয়ে ইস্ত্রি চালাতে হবে যাতে এটি একসঙ্গে লেগে থাকে। মনে রাখতে হবে যে স্টিচ লাইন ভিতরের দিকে বাঁকাতে হবে।
এবার সূচ ও সুতো দিয়ে সেলাই করতে হবে। চাইলে বোতাম লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে।