তাই শীতকালীন পোশাক বেছে নেওয়ার সময় আবহাওয়া-বান্ধব রঙ এবং কাপড়ের দিকে খেয়াল রাখা দরকার। বিয়ে বাড়ি হোক বা কোনও পার্টি, কিংবা লং ড্রাইভ— শীত পোশাকের ফ্যাব্রিক নির্বাচনে খুব বেশি করে জোর দিতে হয়।
আরও পড়ুনঃ চুল ঝরার সমস্যায় নাজেহাল? মা -ঠাকুমার টোটকাতেই মুশকিল আসান
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কেমন হওয়া দরকার শীতের সাজ...
advertisement
কাপড় ও রঙঃ
ভারতের মতো উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়ার দেশে বেশির ভাগ মানুষই অপেক্ষা করে থাকেন শীতকালের জন্য। বাঙালির তো বেশির ভাগ বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণই আসে এই সময়। তাতেই আনন্দ। কারণ জমকালো সাজগোজ করার মতো আবহাওয়া শুধু বছরের এই সময়টিতেই পাওয়া যায়।
সিল্ক এবং ব্রোকেডের মতো কাপড় শীতের পোশাকের জন্য আদর্শ। সাধারণ এই ধরনের কাপড় একটু মোটা হয়, পাশাপাশি বাইরের হাওয়া বাতাস থেকেও শরীরকে রক্ষা করতে পারে। সিল্ক এবং ব্রোকেডের মতো কাপড় শরীর উষ্ণ এবং আরামদায়ক রাখার জন্য উপযুক্ত।
আরও পড়ুনঃ সৌন্দর্য বাড়াবে দারুচিনি! রূপচর্চায় ম্যজিকের মতো কাজ করে রান্নাঘরের এই উপাদান
গ্রীষ্মকালে যেমন হালকা রঙের কাপড় পরতে ভাল লাগে, শীতে ঠিক তার বিপরীত। যে কোনও গাঢ় রঙের পোশাক এই সময় বেছে নেওয়া যেতে পারে। তাতে অনেকটা উষ্ণতা পাওয়া যাবে।
ফ্যাশনঃ
নিজস্ব রুচি এবং পছন্দের উপর নির্ভর করেই পোশাক নির্বাচন করা উচিত, তা সে ঘরে হোক বা বাইরে। যে কোনও কাজের নিজস্ব ভঙ্গি থাকে, পোশাকও তার সঙ্গে মানানসই হওয়া প্রয়োজন।
টার্টল নেক টিঃ
শীতের জন্য আলমারিতে যেন অবশ্যই তোলা থাকে একটি টার্টল নেক পোশাক। যা, খুব ভাল ভাবে ঠান্ডা হাওয়া আটকে দিতে পারে। অনায়াসেই এই ধরনের একটি আপার পরে নেওয়া যা ইনার হিসেবে। আবার তত শীত না পড়লে এটুকুই হতে পারে ফ্যাশনের অঙ্গ। জিনস হোক বা ফর্মাল প্যান্ট, ওয়েস্টার্ন স্কার্ট হোক বা এথনিক ঘাগড়া এমনকী ভারী কোনও শাড়ি— সব কিছুর সঙ্গেই টার্টল নেক খুব ভাল ভাবে চলতে পারে।
ট্রেঞ্চ কোটঃ
আর একটি জিনিস রাখা যেতে পারে হাতের কাছে, তা হল ট্রেঞ্চ কোট। যাঁরা প্রতিদিন অফিস যান, তাঁদের জন্য একটি একটি অনবদ্য পোশাক। সে ক্ষেত্রে দু’একটি কোট রাখা যেতে পারে আলমারিতে। ফর্মালি শাড়ির সঙ্গে একটা ফিউশন তৈরি করতে পারে এই শীত পোশাক। যদি অফিস থেকে কোনও নিমন্ত্রণ বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা থেকে থাকে তা হলে তো কথাই নেই। আবার ওয়েস্টার্নের সঙ্গেও দারুন স্মার্ট লাগে। ফর্মাল ট্রাউজার হোক বা ক্যাজুয়াল জিনস সব কিছুর সঙ্গেই ভাল লাগবে। আরও একটু সাহসী হতে গেলে মিডি স্কার্টের সঙ্গেও টিম-আপ করে নেওয়া যেতে পারে। তবে শীতের কথা মাথায় রেখে লেগ ওয়ার্মার আর হাই রাইজ বুট বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ইন্দো-ওয়াস্টার্নঃ
এটা বোধহয় ভারতীয় মহিলাদের জন্য একটি বিশেষ বিকল্প। যা তাঁদের অনন্য করে তোলে। শীত পোশাকের বেশির ভাগই পশ্চিমা দেশের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা, তার সঙ্গে যখন ভারতীয় পোশাক মিলে মিশে যায় তখন তা অনবদ্য দেখতে লাগে। লম্বা ট্রেঞ্চ কোট হোক বা কার্ডিগান অথবা বক্সি সোয়েটার নানা ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। বোতাম লাগানো কার্ডিগান বা বডি-হাগিং পুলওভার শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সপ্তাহান্তিক ভ্রমণে ডেনিম জ্যাকেটঃ
সপ্তাহান্তিক ভ্রমণে জিনস বা লং স্কার্টের সঙ্গে অবশ্যই থাক হাই রাইজ বুট। আর থাক ডেনিম জ্যাকেট। তেমন বিশেষ কোথাও যাওয়ার থাকলে একটু বদলে নেওয়া যায় পোশাক। পছন্দের স্কার্ট বা প্যান্টের সঙ্গে বেছে নেওয়াই যায় একটি মেটালিক জ্যাকেট।
ভারতীয় লুকঃ
বিশেষত বিয়ের মরশুমে সজগোজে ভারতীয়ত্বের ছোঁয়া চান সকলেই। এর জন্য শাড়ি বেছে নেওয়াই ভাল। জমকালো ভারী শাড়ি পরার এই তো সময়। সঙ্গে থাকতে পারে কাজ করা কাশ্মীরি শাল। অথবা, বেছে নেওয়া যেতে পারে কলিদার চুড়িদার।