কিন্তু আমরা একটা জিনিস সব সময়ই দেখি, আর সেটা হল- টুপির উপর পমপম লাগানো থাকে। কিন্তু লক্ষ করলেও বিষয়টিকে ততটাও গুরুত্ব দিয়ে দেখি না। আসলে দেখে মনে হয় যে, টুপির সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্যই তাতে পমপম লাগানো হয়। কিন্তু সেটা আসল কারণ নয়। এর অবশ্য একটা অন্য ইতিহাসও রয়েছে (fashionable woollen garments)।
advertisement
টুপির উপর পমপম লাগানোর রীতি নতুন নয়, বছরের পর বছর ধরে এই রীতি চলে আসছে। শুধু তা-ই নয়, আজ থেকে ১০০ বছর আগেও টুপিতে এই পমপম লাগানোর রীতি চালু ছিল।
আরও পড়ুন : চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহাল? দেখুন তো এই কারণগুলি দায়ী কিনা
১৯০৪ সালে প্রথম বার:
মনে করা হয় যে, কাটিং করা ফুল বানিয়ে সাজানোর রীতি প্রচলিত ছিল। শুধু তা-ই নয়, নরওয়ের পৌরাণিক রীতি অনুযায়ী, ফ্রেয়ার (Freyr) নামক ভগবান নিজের মাথায় পমপমের সুরক্ষাকবচ ব্যবহার করতেন। সুইডেনে পাওয়া একটি মূর্তি বা স্ট্যাচুতে এমনটা দেখা গিয়েছিল। আবার ইউরোপের কিছু কিছু দেশে এই ধরনের হ্যাট জাতীয় টুপির পমপমের রঙের মাধ্যমে মানুষের পদমর্যাদার কথা জানা যেত। পাদ্রীরা এই রকম ভিন্ন ভিন্ন রঙের পমপম লাগানো টুপি ব্যবহার করতেন। এর মাধ্যমে তাঁদের আলাদা আলাদা পদমর্যাদার বিষয়ে জানা যেত।
আরও পড়ুন : মনে রাখুন সাজের সহজপাঠ, বর্ষবরণের পার্টিতে রাতভর মেকআপ থাকবে অটুট
আরও পড়ুন : অতিমারিধ্বস্ত শৈশবে প্রয়োজন বিশেষ নজর, জেনে নিন পরিবর্তিত অবস্থায় নতুন বছরে কেমন হবে পেরেন্টিং টিপস
মিলিটারিতে কর্মরতরাও পমপম দেওয়া টুপি পরতেন:
দ্য আউটলাইন-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে, এই ধরনের টুপি সুরক্ষাকবচের মতো হয়। নেপোলিয়ন বোনাপার্টের (Napoleon Bonaparte) সময়ে সৈন্যদের পোশাকে বাবল বা পমপমের মতো জিনিস লাগানো থাকত। এর ফলে সৈন্যদের সঙ্কীর্ণ জায়গায় মাথায় আঘাত লাগত না। শুধু তা-ই নয়, মন্দার সময়ও এই টুপির চাহিদা ছিল তুঙ্গে। কারণ কম খরচে বেশ সুন্দর ফ্যাশনেবল লুক এনে দিত এই পমপমওয়ালা টুপিগুলো। পরে মঙ্কিস্ (The Monkees) ব্যান্ডের সদস্য মাইকেল নেস্মিথ (Michael Nesmith) এই ধরনের টুপিকে ফ্যাশন ট্রেন্ডের আওতায় এনেছেন।
তা হলে বোঝা গেল তো যে, পমপম শুধু ফ্যাশনের জন্য নয়? এটা একটা ইতিহাস!