ইদ-উল-জুহা আরবি শব্দ ইদ থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ উৎসব এবং জুহা এসেছে উজাইয়্যা থেকে যার অর্থ ত্যাগ। ইসলামি মাসের জুল হিজ্জার দশম দিনে উদযাপিত বকরিদ প্রায় তিন দিন ধরে পালিত হয়। এ বছর ইদ-উল-জুহা উদযাপন শুরু হয়েছে ১০ জুলাই রবিবার।
আরও পড়ুন- "আচ্ছে দিন আনতে কঠোর পরিশ্রম করব”: মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর জানালেন একনাথ শিন্ডে
advertisement
ইসলামের বিশ্বাস অনুযায়ী, হযরত ইব্রাহিম আল্লাহর প্রতি তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস থেকে আত্মত্যাগ করেছিলেন, দিনটি সেই আত্মত্যাগের স্মরণে পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয়, হযরত ইব্রাহিম তাঁর পুত্র হযরত ইসমাইলকে ঈশ্বরের কাছে বলিদানের দুঃস্বপ্ন দেখেছিলেন। যখন তিনি তাঁর ছেলের কাছে নিজের দুঃস্বপ্নের কথা প্রকাশ করেন, পুত্র রাজি হয়ে যান এবং তাঁর বাবাকে তাঁকে ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করতে বললেন।
তাঁদের দৃঢ় ভক্তি ও বিশ্বাসে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল্লাহ ফেরেশতা জিবরাঈলকে একটি ছাগল দিয়ে পাঠান। জিবরাঈল হযরত ইব্রাহিমকে জানিয়েছিলেন যে ঈশ্বর তাঁদের ভক্তি দেখে খুশি হয়েছেন এবং তিনি তাঁর ছেলের জায়গায় একটি ছাগলকে কুরবানি দিতে বলেছেন।
বকরিদের দিন, সারা বিশ্বের মুসলিমরা সম্পূর্ণ সূর্যোদয় হওয়ার পর মসজিদে বিশেষ নামাজ পাঠ করেন। সূর্য জোহরের সময় অর্থাৎ মধ্যাহ্নের নামাজের সময় প্রবেশের ঠিক আগে ইদ-উল-আধার নামাজ পড়তে হবে। নামাজের পর, মুসলিমরা ইমামের খুতবায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতির বাড়ি দখল করে স্যুইমিং পুলে সাঁতার কাটলেন শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীরা!
বিশেষ নামাজে অংশ নেওয়ার পরে বাড়ি ফিরে একে অপরকে ইদ মোবারক জানান মানুষ এবং ছাগল ও ভেড়া কুরবানি দেযন। পশুর এই বলি কুরবানি নামে পরিচিত এবং এর মাংস গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে উদযাপনের মধ্যে রয়েছে জমজমাট খাওয়াদাওয়া, পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে আনন্দ উদযাপন।