সেটা আবার কী? স্লিপ ডিভোর্স মানে কিন্তু সঙ্গীকে পুরোপুরি ডিভোর্স দিয়ে দেওয়া নয়। তাহলে ব্যাপারটা আসলে কী রকম? সেটাই আজ দেখে নেওয়া যাক।
যখন দম্পতি অথবা সঙ্গীরা একই ছাদের তলায় থাকেন, অথচ আলাদা ঘরের আলাদা বিছানায় ঘুমোন, তখন সেই বিষয়টাকে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বলা হয়। এটা সাধারণত কিছু কিছু সময় অস্থায়ী ভাবে বা কিছু দিনের জন্যও হতে পারে, তো আবার সঙ্গীরা স্থায়ী ভাবেও এই পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। তবে হ্যাঁ, উভয়ের ঘুমোনোর জায়গায় কিন্তু যথেষ্ট আরামদায়ক হতে হবে। অর্থাৎ শরীর সুস্থ রাখার জন্য ভাল করে ঘুমোনো উচিত। কিন্তু কেন এই ব্যবস্থা?
advertisement
আরও পড়ুন: কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কি শরীর সত্যি ঠান্ডা হয়? জানুন গরমে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া আদৌ ঠিক কি না
স্লিপোপলিসের স্লিপ হেলথ-এর ডিরেক্টর শেলবি হ্যারিস সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে, আসলে দম্পতি অথবা সঙ্গীদের ঘুমের ধরন, অভ্যেস, পছন্দ একে অপরের তুলনায় ভিন্ন। কেউ আবার রাতে বেজায় নাক ডাকেন। ফলে তাঁর সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে যেতে পারে। শুধু শেলবি নন, একই ধরনের প্রতিক্রিয়া হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের মেডিসিনের সায়েন্টিস্ট ও ইনস্ট্রাক্টর ডা. রেবেকা রবিনসের বক্তব্য, দুই সঙ্গীর মধ্যে এক জনের স্লিপ সাইকেল অন্য জনের সঙ্গে না মিললে তাঁরা একে অপরকে এড়িয়ে চলতে চান। যার জন্য এই স্লিপ ডিভোর্সের ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: ধূমপান ছাড়তে চাইছেন অথচ পারছেন না? নানা সমস্যা এড়িয়ে কীভাবে সফল হবেন? জানুন
এই স্লিপ ডিভোর্সের উপকারিতা ঠিক কী রকম?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাল মানের ঘুম আমাদের স্মৃতিশক্তি তরতাজা করে, সেই সঙ্গে ইমিউন সিস্টেমকেও জোরদার করে। এমনকী গুরুতর রোগের আশঙ্কাও অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সর্বোপরি জীবনের মান উন্নত করতে সহায়ক পর্যাপ্ত ভাল ঘুম। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিনের কনসালট্যান্ট ডা. এরিন ফ্লিন-ইভানস জানান যে, আলাদা ঘুমোনোর একটা উপযোগিতা তো রয়েছেই। আসলে বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, দুই সঙ্গীর মধ্যে এক জনের ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা অপর জনের জীবনকে নেতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করে।
তবে অনেক গবেষকই আবার বিষয়টাকে স্লিপ ডিভোর্স বলতে পছন্দ করছেন না। কিংবা বলা যায় যে, স্লিপ ডিভোর্স নামটা তাঁদের না-পসন্দ। কারণ তাঁদের মতে, দু’জন আলাদা ঘরে ঘুমোচ্ছেন মানেই তাঁদের সম্পর্ক ঠিক নেই, ‘স্লিপ ডিভোর্স’ কথাটা শুনলে এটাই প্রথমে মনে হয়। অথচ বিষয়টা কিন্তু সে-রকম একেবারেই নয়!