সূত্র বলছে, রোবোটিক টিএইচএ প্রথম বার করা হয়েছিল ১৯৯০ সালে। সেই সময় একটা উদ্বেগ ছিল। আর সেটা হল নতুন প্রযুক্তি কি আদৌ উন্নত হবে। এমনকী যেসব রোগী টিএইচএ- করাচ্ছেন, তাঁদেরও কি অবস্থা ভাল হবে!
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাতৃত্বের স্বাদ পেতে মানুন 'এই' দৈনন্দিন রুটিন! দূর হবে যে কোনও বাধা, জানুন বিশেষজ্ঞের মত
টিএইচএ অনেক বড় অংশে নির্ভর করে শল্যচিকিৎসক বা সার্জনদের উপর। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই প্রক্রিয়ার সাফল্য নির্ভর করে ইমপ্ল্যান্টের পজিশনিং এবং প্লেসমেন্টের উপর। ব্রিটেনেপ ন্যাশনাল জয়েন্ট রেজিস্ট্রির থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মূলত ডিসলোকেশনের কারণেই হিপ সার্জারি জরুরি হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ মেঝে হবে আয়নার মতো ঝকঝকে, শুধু 'এই' পন্থা মানুন, ম্যাজিক হবে নিশ্চিত
কম্পোনেন্টের অনুপযুক্ত প্লেসমেন্টের কারণে ডিসলোকেশন হতে পারে। অভিজ্ঞ সার্জিক্যাল দক্ষতা সত্ত্বেও কম্পোনেন্ট পজিশনিংয়ের ক্ষেত্রেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর অনুপযুক্ত কম্পোনেন্ট পজিশনিংয়ের কারণে রিভিশন হিপ সার্জারির প্রয়োজন হয়। টিএইচএ-তে রোবোটিক অ্যাসিস্ট্যান্সের ফলে সঠিক কম্পোনেন্ট পজিশনিং সম্ভব হয়েছে।
রোবোটিক অ্যাসিস্টেড টিএইচএ-র আর একটি বিবেচ্য বিষয় হল, যতটা সম্ভব অ্যাসিটাবুলার এবং ফিমোরাল হাড়ের স্টকে ভারসাম্য বজায় রাখা। যদি ভবিষ্যতে এই সব রোগীদের মধ্যে রিভিশন হিপ সার্জারির ঘটনা দেখা যায়, তা-হলে প্রাথমিক সার্জারিতে বোন স্টকের সংরক্ষণ বৃদ্ধি রিভিশন সার্জারির জটিলতা কমিয়ে দেবে।
অনুপযুক্ত ইমপ্ল্যান্ট প্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে পায়ের দৈর্ঘ্যের পার্থক্য দেখা দিতে পারে। আর তার ফলে রোগীর মধ্যে অসন্তুষ্টি দেখা দিতে পারে। যার ফলাফল খারাপ হতে পারে। রোবোটিক অ্যাসিস্টেড টিএইচ-র ক্ষেত্রে এই সমস্যা থাকে না। দুই পায়ের দৈর্ঘ্য যাতে সমান থাকে, সেই বিষয়টা অনেকটাই উন্নত হয়েছে।
টিএইচএ-তে রোবোটিক অ্যাসিস্ট্যান্সের ফলে ইমপ্ল্যান্ট প্লেসমেন্ট অনেকটাই নিখুঁত হয়েছে। আসলে এটা প্রত্যেক রোগীর অ্যানাটমির উপর ভিত্তি করেই মূলত ডিজাইন করা হয়ে থাকে। এখানেই শেষ নয়, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে জুনিয়র সার্জনদের ট্রেনিংয়ের সুযোগ প্রদান করছে এই বিষয়টা।