আরও পড়ুন- একটু ব্যথা হলেই পেইনকিলার খাচ্ছেন? অকালে হারাতে পারেন শ্রবণশক্তি!
অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস (AD) কী?
এটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত ত্বকের একটি রোগ। সারা বিশ্বের ২০% শিশু এবং ৩% প্রাপ্তবয়স্করা Atopic Dermatitis (AD)-এ আক্রান্ত।
অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস (AD) এর লক্ষণ?
এর লক্ষণগুলি হল লাল ত্বক, শুষ্ক ত্বক, চুলকানি এবং ফাটা ত্বক। অনেক সময় ত্বকের ছিদ্র থেকে তরল বা রক্ত বের হয়। এই রোগ রোগীদের মধ্যে অন্যান্য মানসিক অসুস্থার কারণও হতে পারে। ঘুমের অভাব, আত্মসম্মানবোধ কমে যাওয়া, বিষণ্নতা এবং জীবনযাত্রার মানও ক্ষুণ্ণ করতে পারে এই রোগ। যদি কোন শিশুও এই রোগে আক্রান্ত হয়, তবে স্কুলে তার কর্মক্ষমতা বা কাজের উত্পাদনশীলতাও প্রভাবিত হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন- দিন রাত খাটছেন কর্মচারী, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আজ 'ধন্যবাদ' জানান বসরা!
কীভাবে অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে?
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন অনিয়ন্ত্রিত বা মাঝারি থেকে গুরুতর অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। এই রোগটি অনিশ্চিত যার ফলে রোগীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করে এবং তাদের সুন্দর স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা দেয়।
চুলকানি এবং ব্যথার কারণে ঘুমোতে সমস্যা হয়। ত্বকের জ্বালা বা চুলকানির কারণে ঘুমের অভাব মেজাজ এবং আচরণকেও প্রভাবিত করতে পারে। কর্মক্ষেত্রে বা স্কুলে মনোযোগ হারান আক্রান্তরা।
অদ্ভুত বিষয় হল, AD সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায় না। তাই, একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে অবিলম্বে চিকিত্সা শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞের মতে, AD স্কুলপড়ুয়া শিশুর আত্মবিশ্বাসকে প্রভাবিত করতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা একা বোধ করতে পারে। সমবয়সীদের কাছ থেকে তাচ্ছিল্য এবং হেনস্থারও সম্মুখীন হতে পারে শিশু যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।